পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লকির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম থেকে ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ফার্গুসন যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, তা এক দৃষ্টান্ত। যা দেখে দলের বাকিদের উদ্বুদ্ধ হওয়া উচিত। রিজার্ভ বেঞ্চে যারা আছে, তাদেরও সুযোগ আসবে। সেটা এভাবেই কাজে লাগাতে হবে। দলের প্রত্যেকেই অপরিহার্য।
এদিকে, বোলিং অ্যাকশন বিতর্ক থেকে সুনীল নারিনের ক্লিনচিট পাওয়া নাইটদের কাছে পুজোর বোনাসের মতো। ব্যাটে-বলে পুষিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই তুলনায় আন্দ্রে রাসেল একেবারেই ফর্মে নেই। ৯টি ম্যাচ খেলে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটির সংগ্রহ মাত্র ৯২ রান। বল হাতেও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ তিনি। পেয়েছেন মাত্র ৬টি উইকেট। প্যাট কামিন্সকে সাড়ে পনেরো কোটি টাকা দিয়ে নেওয়ার ফায়দা এখনও সেভাবে পায়নি নাইট রাইডার্স। তাই এই দুই বিদেশি যত তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরবে, ততই ভালো কিং খানের দলের।
নাইটরা ৯টি ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চতুর্থ স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমসংখ্যক ম্যাচে আরসিবি’র ঝুলিতে ১২ পয়েন্ট। ফিরতি পর্বের লড়াইয়ে বুধবার ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম সাক্ষাতে অবশ্য নাইটরা পর্যুদস্ত হয়েছিলেন কোহলি বাহিনীর কাছে। এবার বদলা নেওয়ার সুযোগ মরগ্যানের দলের সামনে। আবুধাবি কেকেআরের ‘হোমগ্রাউন্ড’। এখান থেকেই ত্রয়োদশ আইপিএলে যাত্রা শুরু করেছিলেন দীনেশ কার্তিকরা। তাই মাঠ ও পরিবেশের সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত তাঁরা। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় কেকেআর। সেই সঙ্গে বিরাট বাহিনীকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজের অবস্থান আরও মজবুত করাই লক্ষ্য নাইটদের।
প্লে-অফে জায়গা পাকা করতে হলে কেকেআরের ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্বশালী হতে হবে। দেখাতে হবে ধারাবাহিকতাও। শুরুটা ভালো করলেও শুভমান গিলের ফোকাস আচমকাই নড়ে যাচ্ছে। পাওয়ার প্লে’তে যত বেশি সম্ভব রান যোগ করার চেষ্টা করতে হবে রাহুল ত্রিপাঠিকে। ওপেনিং জুটি সফল হলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বড় স্কোর হওয়ার সুযোগ থাকবে অনেক বেশি। নীতীশ রানা অনেক ম্যাচ খেললেন। তাঁর বদলি খোঁজা যেতেই পারে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে আন্দ্রে রাসেলের ক্ষেত্রেও। রাসেল এখন ধারে নয়, ভারে কাটার চেষ্টা করছেন। যা বেশি দিন চলতে পারে না। তাঁর জায়গায় খেলানো যেতে পারে টম ব্যান্টন কিংবা ক্রিস গ্রিনকে। যেমন লকি ফার্গুসনের ক্ষেত্রে ঘটেছে। একটা সুযোগ পেয়েই তিনি বল হাতে জ্বলে উঠেছেন। ইয়ন মরগ্যান ও দীনেশ কার্তিক মিডল অর্ডারে দলকে ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এখনও ৫টি খেলা বাকি কেকেআরের। তাই ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তাদের কাছে।