বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও খেলতে নামার আগে নয়া ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যানের উচিত, একটা সিরিয়াস টিম মিটিং ডেকে প্রত্যেককে নিজের নিজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া। খানিকটা কর্মস্থলে ফাঁকিবাজ লোকদের রক্তচক্ষু দেখিয়ে কাজ তোলার মতো ব্যাপার। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, প্যাট কামিন্স, নীতীশ রানা, দীনেশ কার্তিকদের ‘আসি যাই মাইনে পাই’ মনোভাব উৎপাটিত করতে না পারলে ক্যাপ্টেন বদলেও কিস্যু লাভ হবে না। পাশাপাশি দরকার সেরা ১১জন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো ব্লু-প্রিন্ট। বিশেষ করে ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণের প্রশ্নে। ইনিংস শুরুর ক্ষেত্রে শুভমান গিলের সঙ্গী হিসেবে রাহুল ত্রিপাঠির উপর খানিকটা ভরসা করা গেলেও প্রথম সারির বাকি দুই ব্যাটসম্যান নীতীশ রানা ও দীনেশ কার্তিককে প্রথম একাদশে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবার সময় এসে গিয়েছে। প্রয়োজনে মরগ্যানের উচিত বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে নিজেকে তুলে আনা। আর মিডল অর্ডারে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে একদা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা সিদ্ধেশ ল্যাডকে। লিস্ট-‘এ’ ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং গড় যথেষ্ট ভালো (৪৩.২৩)। আর আন্দ্রে রাসেলকে পাঁচ বা ছয় নম্বরে ফিনিশার হিসেবে ব্যবহার করাই শ্রেয়। তাঁর মতো খেয়ালি প্লেয়ারের উপর আর যাই হোক ইনিংস গড়ার ভার দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
বোলিং নিয়েও নতুন পরিকল্পনার অবকাশ রয়েছে। প্যাট কামিন্স সেরা ফর্মে নেই। তাই তাঁর উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য অভিজ্ঞ একজন পেসার দলে আনা দরকার। লকি ফার্গুসনই হতে পারেন সেরা বিকল্প। গত ম্যাচে ডাহা ব্যর্থ ক্রিস গ্রিনকে বসিয়ে তাঁকে দলে ঢোকানো যেতে পারে। তাতে চার পেসার ও এক স্পিনার কম্বিনেশন হলেও আপত্তির কিছু নেই। কারণ আরব আমিরশাহির বাইশ গজে এবার স্পিনারদের থেকে পেসারাই বেশি সাফল্য পাচ্ছেন।
প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদও খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতেছে তারা। আসলে দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো এবার সেই আগের ফর্মে নেই। মণীশ পান্ডের ধারাবাহিকতায়ও ঘাটতি রয়েছে। আরও হতশ্রী দশা হায়দরাবাদের বোলিং বিভাগের। সমস্যা বেড়েছে ভুবনেশ্বর কুমার চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার ফলে। ওয়ার্নারের দলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে নাইট ব্রিগেডকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ইয়ন মরগ্যানের সামনে। দেখা যাক, তাঁর ক্যাপ্টেন্স লাক কেকেআরকে খেতাবি দৌড়ে টিকিয়ে রাখতে পারে কিনা! যা গত বছর ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপ।