বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রশ্ন: মোহন বাগানের পাশাপাশি ইস্ট বেঙ্গলও এবার আইএসএলে খেলার সুযোগ পেল। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর: ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতাই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যের নেপথ্যে এই রাজ্যের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে সেই উদাহরণই মেলে। অতীতে জাতীয় দলে বঙ্গসন্তানদেরই আধিপত্য ছিল। এখন তা কমেছে। তাই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমরা এখন ১০৯ নম্বরে। এই জায়গা থেকে এগনোর জন্য প্রয়োজন মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গলের হাত ধরা। গোটা বিশ্বে এত সমর্থক অন্য কোনও ক্লাবের রয়েছে বলে মনে হয় না। আইএসএল দেশের সেরা লিগ। আর কলকাতার দুই প্রধান ছাড়া যা কখনোই সম্পূর্ণ হতে পারে না। এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করে মোহন বাগান আইএসএল খেলছে। আর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শ্রী সিমেন্টকে পাশে পেয়ে যাবতীয় বাধা অতিক্রম করেছে ইস্ট বেঙ্গল। ফলে আখেরে লাভ হয়েছে এই লিগেরই। আশা করব, মহমেডান স্পোর্টিংও দ্রুত দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলার সুযোগ পাবে।
প্রশ্ন: দুই প্রধানের অন্তর্ভুক্তিতে আইএসএল কীভাবে লাভবান হবে?
উত্তর: ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেব সব খেলার খোঁজ নিয়মিত রাখতে হয়। তবে ফুটবলের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। গত বছর পর্যন্ত দেখেছি, আইএসএলের সময় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন প্রায় ফাঁকা। দর্শকের থেকে পুলিসের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ, জনপ্রিয়তার নিরিখে কলকাতা লিগও পিছনে ফেলেছে আইএসএলকে। কিন্তু মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গল যোগ দেওয়ার পর অবশ্যই বদলাবে এই চালচিত্র। করোনার জন্য এবার গোয়ায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হবে প্রতিটি দলকে। পরের মরশুম থেকে বাংলার দুই বড় ক্লাবের খেলা দেখতে ভিড় উপচে পড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। আইএসএল তখন পৌঁছবে অন্য পর্যায়ে। সমর্থকরাই ফুটবলের প্রাণ। তাঁদের অগ্রাহ্য করে জনপ্রিয়তা পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। কলকাতা তথা বাংলার ফুটবলের হাত ধরেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবে আমাদের দেশ, নীতা আম্বানির এই মন্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত। নতুন প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গলের বিকল্প নেই।
প্রশ্ন: স্থানীয় ফুটবলারদের তুলে ধরার জন্য কি দুই প্রধান বাড়তি তাগিদ দেখাবে?
উত্তর: দেখুন, দু’টি বড় ক্লাব সবসময়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে। সদস্য-সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ তাদের সামলাতে হয়। তাই দল গড়া নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করা সম্ভব না’ও হতে পারে। মনে রাখতে হবে, আইএসএলে বিদেশি ফুটবলারদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা রয়েছে। তারপর সেরা ভারতীয় ফুটবলারদের বেছে নেওয়াই তাদের লক্ষ্য থাকবে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য দুই প্রধানের কর্তারা নিশ্চয়ই অতীতের মতোই সচেষ্ট থাকবেন। আর রাজ্য সরকার সবসময় তাদের পাশে রয়েছে।
প্রশ্ন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ড্রিম প্রজেক্ট হল বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমি। করোনার জন্য মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে যা বন্ধ। এখন ওখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। ফের কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে এই অ্যাকাডেমি?
উত্তর: করোনার বিরুদ্ধে আমরা পরিকল্পনামাফিক লড়ছি। আশা করি, এই ভাইরাসকে হার মানাতে সক্ষম হবে রাজ্য তথা দেশের মানুষ। তারপরেই অ্যাকাডেমি আবার স্বাভাবিক পথে পা ফেলবে। ভার্চুয়াল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ফুটবলারদের তৈরি রাখছেন অভিজ্ঞ কোচ অনন্ত ঘোষ। এছাড়া অনলাইনে আমরা খেলোয়াড়দের স্টাইপেন্ড দিচ্ছি। ওরাই ভবিষ্যতের সম্পদ।
প্রশ্ন: কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাজ কী শেষ পর্যায়ে?
উত্তর: আমরা প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাকি পরিকল্পনা এখনই বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। তবে মাস দুয়েক সময় পেলেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মতোই এটাও হবে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। আগামী বছরের প্রথম দিকেই নবরূপে সজ্জিত কিশোর ভারতীর উদ্বোধন হবে। শুধু তাই নয়, দমদমে শূরের মাঠ, নৈহাটি, তেহট্ট, ব্যারাকপুর সহ রাজ্যের ১১টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে।
প্রশ্ন: শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
উত্তর: এখনও পর্যন্ত এই স্টেডিয়াম শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পর্ষদের অধীনে। কিছু পেপার ওয়ার্কস শেষ হলেই যা আমাদের হাতে আসবে। তারপর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে অবশ্যই সাজিয়ে তুলব।
প্রশ্ন: ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে নিজেকে দশের মধ্যে কত নম্বর দেবেন?
উত্তর: আমি তো পরীক্ষার্থী মাত্র। খাতা দেখবেন জনগণ। ওরাই আমাদের মূলধন।