পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
(মানে, রবার্টসন, জোতা) (ল্যাকাজেট)
লিভারপুল: প্রিমিয়ার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক লিভারপুলের। সোমবার অ্যানফিল্ডে ছন্দে থাকা আর্সেনালের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল জুরগেন ক্লপের দল। ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান যথাক্রমে সাদিও মানে, অ্যান্ড্রু রবার্টসন ও ডিয়েগো জোতা। আর্সেনালের একমাত্র গোলদাতা আলেজান্দ্রো ল্যাকাজেটে। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও যেভাবে ছেলেরা জয় তুলে নিয়েছে, তাতে আপ্লুত লিভারপুল কোচ ক্লপ। ম্যাচ শেষে তাঁর মন্তব্য, ‘এই জয়টা অবশ্যই স্পেশাল। আর্সেনাল দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। নিঃসন্দেহে ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে আমরা চাপে ছিলাম। তবে গোল হজম করার পরেও ছেলেরা দমে যায়নি। যার ফল এই জয়।’
মিকেল আর্তেতার প্রশিক্ষণে হাত গত মরশুমে এফএ কাপ জয় করে আর্সেনাল। পাশাপাশি লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন মরশুমের অভিযান শুরু করে তারা। তারপর লিগের প্রথম দু’ম্যাচেও পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ান-আবামেয়াংরা। সোমবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য ছিল আর্তেতা-ব্রিগেডের। শুরুটাও দুরন্ত করে তারা। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন আলেজান্দ্রে ল্যাকাজেটে (১-০)। ডানপ্রান্ত থেকে মেটল্যান্ড-নাইলসের ক্রস বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন অ্যান্ডারসন। যা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ ফরাসি স্ট্রাইকারটির। তবে সেই লিড খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। তিন মিনিটের মধ্যেই লিভারপুলকে সমতায় ফেরান সাদিও মানে (১-১)। ডানপ্রান্ত থেকে মহম্মদ সালাহর শট প্রথম প্রচেষ্টায় রুখে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক লেনো। ফিরতি বল জালে জড়ান মানে। এরপর ৩৪ মিনিটে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন (২-১)।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়লেও, বিরতির পর সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন অবামেয়াং। বরং একেবারে শেষ লগ্নে ডিয়েগো জোতার গোল বিপক্ষ কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় (৩-১)। টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে দু’নম্বরে উঠে এল লিভারপুল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে লেস্টার সিটি।