রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তিনটি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। অনেকেই ভেবেছিলেন, রোহিত বাহিনীর পক্ষে এই ম্যাচে ফেরা আর সম্ভব নয়। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে কিয়েরন পোলার্ড ও ঈশান কিষাণ ১১৯ রান যোগ করে ফের আশা জাগিয়ে তোলেন। অন্তিম ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। উদানার তৃতীয় বলে বাউন্ডারি লাইনে ঈশানের ক্যাচ ধরতে পারেননি গুরকিরাত। সেই সুযোগে ফের তিনি ছক্কা হাঁকান। কিন্তু পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে ৯৯ রানে আউট হয়ে যান ঈশান। শেষ বলে পোলার্ড চার মারতেই ম্যাচ টাই হয়। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
আসলে মুম্বইয়ের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। ৩৯ রানেই পড়ে যায় ৩টি উইকেট। রোহিত শর্মা (৮), সূর্যকুমার যাদব (০), কুইন্টন ডি’কক (১৪) দ্রুত ডাগআউটে ফেরেন। বড় রান পাননি হার্দিক পান্ডিয়াও (১৫)। একটা সময় ৪ ওভারে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৮০ রান। কিন্তু আরসিবি অধিনায়ক কোহলি স্পিনারদের দিয়ে বল করিয়ে প্রতিপক্ষকে লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ করে দেন। দানবীয় ব্যাটিং করেন পোলার্ড। ২৪ বলে তিনি ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু সুপার ওভারে সেই ঝাঁঝ দেখা যায়নি তাঁর ব্যাটে।
টসে জিতে রোহিত শর্মার ফিল্ডিং নেওয়া ঠিক হয়নি। তার প্রমাণ মিলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দুই প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্সে। ওপেনিং জুটিতে অ্যারন ফিনচ ও পাদিক্কাল যোগ করেন ৮১ রান। মুম্বই ফিল্ডারদের বদান্যতায় ফিনচ ৩৫ বলে ৫২ রান করেন। শক্ত ভিতের উপর রানের ইমারত গড়ার সুযোগ ছিল কোহলির সামনে। কিন্তু তিনি পারেননি। এবারের আইপিএলে তিনটি ম্যাচেই (১৪, ১, ৩) ব্যর্থ ভিকে। তবে বিরাটের ব্যর্থতা ঢাকা পড়েছে পাদিক্কাল, এবি ডি’ভিলিয়ার্সদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৬২ রান। এবারের টুর্নামেন্টে সহজেই দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আরসিবি’র বাঁহাতি ওপেনারটি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে আউট হন তিনি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন এবি। চারটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারিও এসেছে তাঁর ব্যাটে। ১০ বলে অনবদ্য ২৭ রান তোলেন শিবম দুবে।