দুবাই: অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে বিরাট কোহলির ঝুলি এখনও শূন্য। কখনও ট্রফির স্বাদ পায়নি তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও। এবার সেই খরা কি কাটবে? সোমবার ত্রয়োদশ আইপিএলে অভিযান শুরু করছে কোহলি ব্রিগেড। সামনে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দক্ষিণী ডার্বিতে তাদের দিকেই পাল্লা ভারি। ওয়ার্নারের নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হায়দরাবাদ। এবারও তাঁকে সামনে রেখেই ঝড় তোলার স্বপ্ন দেখছে সানরাইজার্স শিবির। ওয়ার্নার মানেই আইপিএলে সমীহ জাগানো নাম। সর্বাধিক তিনবার ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ জিতেছেন তিনি।
কোহলির নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে বিশ্ব ক্রিকেট। কিন্তু আইপিএলে কেন খাটে না তাঁর ‘লিডার্স কোয়ালিটি’? এই প্রসঙ্গে স্বয়ং বিরাট বলছেন, ‘প্রতিবারই আমরা এক লক্ষ্য নিয়ে এগোই। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে দলের প্রতিটি বিভাগের পারফরম্যান্সে ভারসাম্য থাকতে হয়। আমাদের দলে সেটাই হচ্ছে না। তবে এবার আমরা ক্ষুধার্ত। আমাদের সামনে সত্যিই রয়্যাল চ্যালেঞ্জ। দেখা যাক কী হয়।’
ডেভিড ওয়ার্নারের চিন্তাধারা আবার অন্যরকম। করোনার বিরুদ্ধে অস্তিত্বের লড়াই করতে গিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ওয়ার্নার বলছেন, ‘ইংল্যান্ডে খেলে সরাসরি আমিরশাহিতে এসেছি। এক জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে আর এক বৃত্তে এসে ঢুকলাম। রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। আগামী কয়েকমাস আমাদের সামনে কঠিন লড়াই। সোমবার ভালো শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
আরসিবি’র ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা অবশ্যই বিরাট কোহলি ও এবি ডি’ভিলিয়ার্স। তাঁদের চাপ এবার অনেকটাই কমাবেন অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিনচ। প্রত্যাশার পারদ চড়ছে তরুণ ওপেনার দেবদূত পাদিক্কালকে নিয়েও। তবুও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরসিবি’র ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য থাকলেও তা স্রেফ খাতায়-কলমে। অন্যদিকে, জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ওয়ার্নারের ওপেনিং জুটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গতবার আরসিবি’র বিরুদ্ধেই ওপেনিং জুটিতে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক রানের নজির গড়েছিলেন তাঁরা। এছাড়াও সানরাইজার্সের ব্যাটিং লাইন আপে রয়েছেন কেন উইলিয়ামস, মনীশ পাণ্ডে ও মিচেল মার্শ। সানরাইজার্সের বোলিং বিভাগ অপরিবর্তিত। পেস আক্রমণে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতেই থাকছে ব্যাটন। এছাড়া রয়েছেন সন্দীপ শর্মা, সিদ্ধার্থ কাউল ও রশিদ খান। অলরাউন্ডার মহম্মদ নবিও দারুণ কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন। সিপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিমের উপরও ভরসা রাখছেন কোচ ট্রেভর বেইলিস, যাঁর প্রশিক্ষণে গতবছর বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। আরসিবি’র কোচ সাইমন ক্যাটিচ তাকিয়ে রয়েছেন দলের স্পিন ইউনিটের দিকে। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর, পবন নেগি, মঈন আলির মতো অস্ত্র রয়েছে আরসিবি’র তূণে। বোলিং শক্তি বাড়াতে তারা দলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসকে। বাংলা তাকিয়ে থাকবে সানরাইজার্সের দুই বাঙালি ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী, ঋদ্ধিমান সাহার দিকে।