বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মিউনিখ: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুরন্ত ফর্ম এবার বুন্দেশলিগাতেও ধরে রাখল বায়ার্ন মিউনিখ। শুক্রবার জার্মান লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে হান্স ফ্লিক-ব্রিগেডের কাছে আট গোলের মালা পরল শালকে। অনবদ্য হ্যাটট্রিক নাবরির। এছাড়া স্কোরশিটে নাম তুলেছেন যথাক্রমে গোরেটস্কা, রবার্ট লিওয়ানডস্কি, টমাস মুলার, লেরয় সানে ও মুসিয়ালা। ম্যাচের পর নাবরি বলেছেন, ‘গত মরশুমের ছন্দ এবারও ধরে রাখতে চাই আমরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও কোনও ফুটবলারই আত্মতুষ্ট নয়। বরং বেড়েছে সাফল্যের খিদে।’
ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে বায়ার্ন। পছন্দের ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন কোচ হান্স ফ্লিক। সিঙ্গল স্ট্রাইকারে রবার্ট লিওয়ানডস্কির পিছনে তিনি ব্যবহার করেন নাবরি, মুলার ও লেরয় সানেকে। চতুর্থ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল তুলে নেয় মিউনিখের ক্লাবটি। কিমিচের পাস ধরে দুরন্ত টার্নে গোলমুখ খুলে নেন নাবরি। তারপর নিখুঁত শটে তাঁর লক্ষ্যভেদ (১-০)। এরপর সময় গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গে বায়ার্ন মিউনিখের আধিপত্য বাড়তে থাকে। ১৯ মিনিটে মুলারের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান গোরেটস্কা (২-০)। এর কিছুক্ষণ পরে বক্সের মধ্যে লিওয়ানডস্কিকে ট্রিপ করা হলে পেনাল্টি পায় ফ্লিক-ব্রিগেড। স্পটকিক থেকে স্কোরশিটে নাম তুলতে ভূল হয়নি পোলিশ স্ট্রাইকারটির (৩-০)। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে তেমন রদবদল হয়নি। ৪৭ মিনিটে সানের পাস থেকে দলের চতুর্থ গোল নাবরির (৪-০)। উল্লেখ্য, এই পর্বে গতি ও স্কিলের বুদ্ধিদীপ্ত সংমিশ্রণে শালকে রক্ষণ বারবার ভেঙেছেন সানে। এটাই ছিল বায়ার্নের হয়ে তাঁর অভিষেক ম্যাচ। ৫৯ মিনিটে সানে-নাবরি কম্বিনেশনে পঞ্চম গোল তুলে নেয় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা (৫-০)। মিনিট দশেক পরেই লিওয়ানডস্কির নিখুঁত র্যাবোনা কিক থেকে বল পেয়ে জাল কাঁপান মুলার (৬-০)। দু’মিনিট পরেই সানের গোল (৭-০)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন কিমিচ। ৮১ মিনিটে শালকের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন জামাল মুসিয়ালা (৮-০)। মাত্র ১৭ বছর ২০৫ দিন বয়সে স্কোরশিটে নাম তুলে নজির গড়লেন তিনি। বুন্দেশলিগায় তিনিই বায়ার্ন মিউনিখের কনিষ্ঠতম গোলদাতা।