কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আইপিএল মানেই ব্যাট-বলের ধুন্ধুমার লড়াই। বাড়তি পাওনা ছিল বিনোদন। যা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে কাজের শেষে পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে গ্যালারিতে ভিড় জমাতেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই। ক্রোড়পতি লিগের আসর বসছে মরুদেশে। তাই অনুরাগীদের ভরসা টেলিভিশনের পর্দা। খেলা হবে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৈরি জৈব সুরক্ষা বলয়। দর্শক তো দূরে থাক, অধিকাংশ দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফরা পরিবারের সঙ্গও পাচ্ছেন না। প্রত্যেককেই মানতে হচ্ছে কোভিড বিধি। উইকেট নেওয়ার পর বোলারকে যেমন ফিল্ডাররা জড়িয়ে ধরতে পারবেন না, তেমনি সেঞ্চুরির পর সতীর্থের সঙ্গে করমর্দনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেই শুরু করবে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আবুধাবিতে তাদের বেস ক্যাম্প। তাই এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না। সেই প্রেক্ষিতে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে কাজটা অনেক কঠিন। কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংও তা স্বীকার করেছেন। এবারের নিলামে ক্রিস লিনকে নিয়েছে মুম্বই। তবুও রোহিত শর্মার সঙ্গে কুইন্টন ডি’কক হয়তো ওপেন করবেন। তিনে সূর্যকুমার যাদব। চার নম্বরে তরুণ উইকেটরক্ষক ঈশান কিষাণের উপর ভরসা রাখতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম ম্যানেজমেন্ট। একঝাঁক তারকা অলরাউন্ডারের উপস্থিতি মুম্বইয়ের বড় শক্তি। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও তা সামলে দেওয়ার মতো ব্যাটসম্যান আছেন। আবুধাবির পিচে কিয়েরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া দারুণ কার্যকরী হবেন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বোলিংয়ে রোহিত শর্মার বড় অস্ত্র অবশ্যই পেসার যশপ্রীত বুমরাহ। ব্যক্তিগত কারণে এবার খেলছেন না লাসিথ মালিঙ্গা। তাঁর অভাব পূরণে ট্রেন্ট বোল্টের উপর ভরসা রাখতে পারেন কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল রাহুল চাহারের। এই ম্যাচে মুম্বইয়ের তৃতীয় পেসার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারেন কুল্টার নাইল। এদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই নানা ঝামেলায় তারা বিপর্যস্ত। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার সহ ১৩ জন সদস্য। আচমকা সুরেশ রায়নার দেশে ফিরে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। পরিবারের পাশে থাকার কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন হরভজন সিংও। মাঠে নামার আগে তাই কিছুটা ব্যাকফুটে সিএসকে। আর সেই খামতি মেটানোই ধোনি বাহিনীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শেন ওয়াটসনের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন অম্বাতি রায়াডু। সেক্ষেত্রে ওয়ান ডাউনে ফাফ ডু’প্লেসি। এবার রায়না না থাকায় ধোনি একটু উপরের দিকে হয়তো নামবেন। কেদার যাদবের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্টটাইম স্পিনার হিসেবে তাঁকে কাজে লাগাতে চাইবেন মাহি। দুই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও ডোয়েন ব্র্যাভো রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। যা অনেক হিসেব উল্টে দিতে পারে। সিএসকে’র স্পিনারদের অভিজ্ঞতাই বড় সম্পদ। পীযূষ চাওলা ও ইমরান তাহির দীর্ঘদিন আইপিএলে খেলছেন। চাপ নিয়ে ম্যাচ ঘোরাতে তাঁরা সিদ্ধহস্ত। পেস বোলিংয়ে শার্দুল ঠাকুরের পার্টনার হতে পারেন দীপক চাহার। যিনি অতীতে বারবার রোহিত শর্মাকে বিপাকে ফেলেছেন।