পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চেন্নাই সুপার কিংসের অনেক ক্রিকেটারের বয়সই পঁয়ত্রিশের উপরে। সেই তালিকায় রয়েছেন ইমরান তাহির (৪১), শেন ওয়াটসন (৩৯), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩৯) মুরলী বিজয় (৩৬), ফাফ ডু’প্লেসি (৩৬) কেদার যাদব (৩৫)। যা কিছুটা চিন্তায় ফেলতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টকে। কারণ, করোনার কারণে এবার আইপিএলের আসর বসেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এখানে গরম যেমন বেশি, আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ক্রিকেটাররা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই সিএসকে’র বর্ষীয়ান ক্রিকেটারদের সমস্যা হতে পারে। তবে কোচ ফ্লেমিং সেটা মানতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘আমি মেনে নিচ্ছি যে দলে অনেক বয়স্ক ক্রিকেটার রয়েছে। কিন্তু ওরা প্রত্যেকেই ফিট। ধোনির কথাই ধরুন না। বয়সটাই শুধু বেড়েছে। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতায় ও যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের কাছে আদর্শ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কিপিং করার পরেও ওর শরীরে কোনও ক্লান্তি নেই। মাহি আমার দলের সবচেয়ে বেশি ফিট ক্রিকেটার। এটাই ওর সাফল্যের ইউএসপি। তাই আমিরশাহির গরমের প্রভাব আমাদের দলে খুব বেশি পড়বে বলে মনে হয় না। তাছাড়া ভারতেও যখন আইপিএল হয়, তখন তো গরম পড়ে। পেশাদার ক্রিকেটাররা সব ধরনের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সেরা পারফরম্যান্সটা কীভাবে মেলে ধরতে হয় জানে। বরং আমার দলে সিনিয়র ক্রিকেটার বেশি থাকায় অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’
প্রতিপক্ষ মুম্বইকে যথেষ্ট সমীহ করছেন সিএসকে কোচ। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। অনেক অনিশ্চয়তা জড়িয়ে থাকে। তার উপর প্রতিপক্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০১৯-এর চ্যাম্পিয়ন। গতবারও আমরা প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম। পৌঁছেছিলাম ফাইনালে। সব কিছুর একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। মানছি মুম্বই শক্তিশালী দল। তবে আমাদের ছেলেরাও তৈরি। ভালো লড়াই প্রত্যাশা করছি।’
পাশাপাশি এ বছর কোনও দলই ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে না। যা খুব চ্যালেঞ্জিং। এই প্রসঙ্গে ফ্লেমিং বলেছেন, ‘প্রতিটি মাঠ এবার দলগুলির কাছে অচেনা। তাই সবাই আলাদা কৌশল নিয়ে খেলতে নামবে। কারণ তিনটি মাঠ চরিত্রগত দিক থেকে ভিন্ন। প্রতিটি ম্যাচই অ্যাওয়ে ম্যাচ। তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলা আমাদের রপ্ত করতে হবে। এছাড়া পিচের চরিত্র অনুযায়ী ক্রিকেট খেলতে হবে। তবেই ভালো ফল করা সম্ভব হবে।’ উল্লেখ্য এবার দুবাই, শারজা ও আবুধাবি এই তিনটি মাঠে আইপিএলের খেলাগুলি আয়োজন করা হবে।