গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার শুরু হচ্ছে ত্রয়োদশ আইপিএল। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার জড়তা কাটিয়ে ছন্দ ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে ঢের আগে আরব আমিরশাহিতে পৌঁছে গিয়েছে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। ছ’দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে গত দুই সপ্তাহ জোর অনুশীলন করেছে কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘ভিকে’। তবে তাঁকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিয়েছে সতীর্থদের নমনীয় মনোভাব। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘চারদিকে গড়ে ওঠা নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা দারুণ নমনীয়তা দেখিয়েছি। এখানে পৌঁছেই উপলব্ধি করেছিলাম, এবারের আইপিএলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে মানসিক অবস্থা। কারণ জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার অভ্যাস আমাদের কারও ছিল না। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন এই পরিবেশ পরিস্থিতিতে জীবন কাটানোর কৌশল আমরা পুরোপুরি রপ্ত করে ফেলেছি। কারও কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। আর এটা সম্ভব হয়েছে ক্রিকেটারদের খোলামেলা ও নমনীয় মনোভাবের জন্য। তা নাহলে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠত আমাদের মন। দানা বাঁধত বহির্বিশ্ব থেকে আলাদা থাকার হতাশা ও আক্ষেপ।’
এবারের আইপিএল হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। এই প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘বিষয়টা আমার কাছেও খানিকটা বিস্ময়কর ঠেকছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের অনুশীলন ও নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস গেম খেলে বুঝেছি, মাঠে দর্শক না থাকার প্রভাব আমাদের খেলায় পড়বে না। সত্যি বলতে কী, আমরা মাঠে খেলতে নামি খেলাটাকে ভালোবেসে। অন্য কোনও কিছুর আকর্ষণে নয়। এটা ঠিক যে, দর্শকরা খেলাধূলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অত্যাবশকীয় নয়। তাই তাঁরা মাঠে না থাকলেও টুর্নামেন্টের মানের কোনও রকম অবনমন ঘটবে না।’ উল্লেখ্য, এদিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হওয়া নায়কদের শ্রদ্ধা জানাতে একটি জার্সি প্রকাশ করেছেন কোহলি। যার পিছনে লেখা রয়েছে ‘মাই কোভিড হিরোজ’। এই জার্সি পরেই আইপিএলে খেলবে আরসিবি টিম।