গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্যুইটার হ্যান্ডলে এক ভিডিও বার্তায় হার্দিক পান্ডিয়া বলেছেন, ‘প্র্যাকটিসে যেভাবে বলে হিট করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। মনোবল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এরপর ম্যাচ খেলতে নামলে চেনা ছন্দেই নিজেকে মেলে ধরতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। কতদিন মাঠের বাইরে ছিলাম, সেটা আমার কাছে গুরুত্ব রাখে না। বরং বাইশ গজে ফিরে আগের মতো যে ব্যাট করতে পেরেছি, এটাই আসল তাৎপর্যপূর্ণ।’ গত বছর নভেম্বরে চোটের কারণে ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হোম সিরিজে টিম ইন্ডিয়ায় ফিরে এলেও বৃষ্টি এবং করোনার জেরে মাঠে নামা সম্ভব হয়নি হার্দিকের। অবশ্য গত মার্চে মুম্বইয়ের একটি স্থানীয় টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন তিনি। ওই আসরেই নিজের ফিট হয়ে ওঠার প্রমাণ রাখেন তারকা অলরাউন্ডারটি। এবার মরু শহরে আইপিএলে ঝড় তোলার প্রতীক্ষায় রয়েছেন হার্দিক। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারটি আশ্বস্ত করেছেন সমর্থকদের। বলেছেন, ‘আইপিএল আমার অন্যতম প্রিয় টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্ট আমাকে সাফল্যের দিশা দিয়েছে। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে এখানে ভালো খেলেই সবার নজরে এসেছিলাম। নিজের পছন্দের সেই মঞ্চেই এবার কামব্যাক করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমাকে বাড়তি প্রেরণা জোগাবে।’ হার্দিক সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘চোটের কারণে দীর্ঘদিন আমাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেকটা সময়। তবে তার জন্য আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ক্রিকেটারদের জীবনে চোট আঘাত থাকবেই। আর তা সামলেই এগিয়ে যেতে হবে।’
লকডাউনের সময়ও চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি হার্দিক। বাড়িতে নিজেদের জিমে নিয়মিত শরীরচর্চা করে গিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ডাকাবুকো অলরাউন্ডারটি বলেছেন, ‘বাড়িতে আমি নিয়মিত ট্রেনিং করেছি। যার ফলে ফিটনেসের দিক থেকে খুবই ভালো জায়গায় রয়েছি। তার সুফল এবার পাব বলেই আমার বিশ্বাস।’ উল্লেখ্য, আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৬৬টি ম্যাচ খেলেছেন হার্দিক। করেছেন ১ হাজার ৬৮ রান। আগামী শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হওয়ার আগে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা ক্রিকেটারটিকে।