কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। কারণ, কোনও দেশের ক্রিকেট সংস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ একেবারেই বরদাস্ত করে না আইসিসি। তাই স্যাসককের পদক্ষেপ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্বাসনের মুখে ঠেলে দিতে পারে। তাই ১৯৯১ সালের পর ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিতাড়িত হওয়ার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বিশ্ব ক্রিকেটের পক্ষে মোটেও ভালো বিজ্ঞাপন হবে না।
সাউথ আফ্রিকা স্পোর্টস কনফেডারেশন অ্যান্ড ওলিম্পক কমিটি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে, বোর্ডের দৈনন্দিন কাজকর্মে আপনারা আর কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবেন না। আর্থিক সিদ্ধান্ত নেবে নতুন প্রশাসক। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। প্রশাসনিক সঙ্কট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। মাঝে এই ব্যাপারটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা ফের মাথা চাড়া দিয়েছে। চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক। তাঁকেও দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে বলেছে সিসকক।
ওলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ডের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকারই নেই সাউথ আফ্রিকা স্পোর্টস কনফেডারেশন ও ওলিম্পিক কমিটির। স্রেফ এই ইস্যুতে তারা মামলা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে বোর্ডে এই ডামাডোল অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে বোর্ডের ভিতরে কী হচ্ছে তা ভগবানই জানেন। এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। গ্রেম স্মিথের মতো প্রাক্তন তারকারা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। তার পরেও যা ঘটছে তা মোটেও ওই দেশের ক্রিকেটের পক্ষে ভালো নয়। খেলাধুলাই দক্ষিণ আফিকাকেঐক্যবদ্ধ করেছিল। এভাবে চললে সব শেষ হয়ে যাবে।’