বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনার জেরে এবছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল সিঙ্গল লেগের। তাই বুধবার লিসবনের এস্তাদিও দ্য লুজে দু’দলই শুরু থেকে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করে। প্রারম্ভিক পর্বে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন নেইমার। গোটা ম্যাচে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ তিনি। তা সত্ত্বেও ম্যাচের নায়কের সম্মান নেইমারকে দিতে হবে। কারণ, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বিপক্ষ রক্ষণকে বারবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছেন তিনি। পাশাপাশি দলের দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান রয়েছে।
সিরি-এ’তে ৯৮ গোল করা আটালান্টা আক্রমণভাগ ছিল এবারের প্রতিযোগিতার অন্যতম চমক। প্রথমবার টুর্নামেন্টের শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটি কোয়ার্টার-ফাইনালেও নিজেদের গোলের ধারা বজায় রাখে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল কাঁপান পাসালিক (১-০)। দলের দুর্বল রক্ষণ নিয়ে বারবার উৎকণ্ঠা দেখা দিলেও, ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয় গেসপেরিনো-ব্রিগেড। গোলের দেখা না পেয়ে ‘হাফ ফিট’ এমবাপেকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। তাতেও খুব একটা কাজের কাজ হয়নি। ৭৮ মিনিটে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গোলরক্ষক নাভাস। অবশেষে ৯০ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তারা। নেইমারের পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে পিএসজিকে সমতায় ফেরান মার্কুইনহোস (১-১)। এই গোলের পর স্নায়ুর চাপ আর নিতে পারেনি আটালান্টা। সেই সুযোগেই সংযোজিত সময়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে জয়সূচক গোলটি তুলে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। নেইমারের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এমবাপে গোলের জন্য বল সাজিয়ে দেন চুপো-মোটিংকে। বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি ক্যামেরুনের উইঙ্গারটির (২-১)।