গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সফল পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্টে এখনও অবধি ৫৯০টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে জুটি বেঁধে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন বহু সাফল্য। তবে ইদানীং বয়সের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তাঁর পারফরম্যান্সে। এটাই প্রত্যাশিত। করোনা পরবর্তী পর্যায়ে তিনটি টেস্ট খেলেছেন জিমি। দু’টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। আর একটি পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজে। কিন্তু নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারেননি অ্যান্ডারসন। তাই অনেকেই বলছেন, অ্যান্ডারসনের এবার অবসর নেওয়া উচিত। কিন্তু ইংল্যান্ডের তারকা পেসারটি এত সহজে বুট জোড়া খুলে রাখতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। এটা মানছি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে আমি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। নিজেও তাই কিছুটা হতাশ। গত দশ বছরে এত অসহায় লাগেনি কখনও। মনে হচ্ছে, খেলা থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৯৭ রান দিয়ে জেমস অ্যান্ডারসন মাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর বলে দু-একটি ক্যাচও মিস হয়েছিল। তা নাহলে উইকেট সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারতেন জিমি। তবে সার্বিকভাবে তাঁর পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো নয়। দলে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন। ইংল্যান্ডকে বহু সাফল্য এনে দেওয়ার পুরস্কারস্বরূপ তিনি এখনও টেস্ট দলে ঠাঁই পাচ্ছেন বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘সাফল্য না পেলে তো হতাশা গ্রাস করবেই। তা থেকে আসে বিরক্তি। তখন মনে হয়, যত জোরে পারি বল করি। কিন্তু কোনও লাভ হয় না। বরং আরও বেশি অতলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে দ্রুত আমাকে ভুল শুধরে নিতে হবে। আগামী কয়েকদিন সেই কাজেই নিজেকে নিয়োজিত রাখব। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সেরাটা মেলে ধরাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছি। অনেক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছি। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার কৌশল আমার জানা রয়েছে। যাঁরা আমার অবসরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, তাঁদের দেখিয়ে দিতে চাই যে, জেমস অ্যান্ডাসনের খিদে এখনও কমেনি। আগামী মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাসেজ সিরিজ জয়কে পাখির চোখ করছি। তারপর ভেবে দেখব, আর খেলা চালিয়ে যাব কিনা।’