কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বেশ কয়েক বছর ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন মুরলী। এছাড়া এশিয়া একাদশের হয়ে তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচও খেলেছেন এক সঙ্গে। তাই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল বিশ্বের সর্বাধিক টেস্ট উইকেটের মালিকের। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে এক অনলাইন আলাপচারিতায় ক্যাপ্টেন ধোনির মূল্যায়ন করেন মুরলীধরন। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে ভারত যখন ওর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল, তখন ধোনি একেবারেই তরুণ। এরপর বিস্তর উন্নতি করেছে সে। চেন্নাই সুপার কিংসে দীর্ঘদিন আমি তার অধিনায়কত্বে খেলেছি। দেখেছি, নেতা হিসেবে বাকিদের থেকে ও কতটা আলাদা। ভালো বলে ছয় হলে ধোনি হাততালি দিত। এরপর নিজেই বোলারকে বলত, বলটা ভালো ছিল। কোনো সমস্যা নেই। একই বল আবার করেও ছক্কা খেতে পার। আর সেটা যদি হয় তবে বুঝতে হবে ব্যাটসম্যানের সামর্থ্য আছে। অন্যথা হয়তো এই বলেই উইকেট মিলে যেতে পারে।’ মুরলীধরন সেই সঙ্গে জানান, ‘একজন বোলারের হাতে বল দিয়ে ধোনি বলে দিত, নিজের মতো করে ফিল্ডিং সাজিয়ে বোলিং করতে। যদি তাতে না কাজ হয় তখন বলত, তার সাজানো ফিল্ডিংয়ে বোলিং করে দেখতে।’
আইপিএলে ধোনির অধীনে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত খেলে ৪০টি উইকেট দখল করেছিলেন মুরলীধরন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মাহির আরও একটি গুণের কথাও তুলে ধরেন প্রাক্তন অফ-স্পিনারটি। মুরলীর কথায়, ‘সতীর্থদের তারিফ করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা করে না সে। তবে ওই খেলোয়াড়কে আলাদা করে ডেকে তার প্রশংসা করে। আবার বকাঝকা করলেও একা ডেকে নেয়। সবার সামনে সব কিছু করতে হবে এমন নীতিতে বিশ্বাসী নয় সে। আর এই জন্যই হয়তো সে এত সফল অধিনায়ক।