বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
(লেঙ্গলেট, মেসি, সুয়ারেজ-পেনাল্টি) (ইনসিগনে-পেনাল্টি)
দু’লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী বার্সেলোনা
বার্সেলোনা: ২৪ ঘণ্টা আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেও জুভেন্তাসকে শেষ আটে তুলতে ব্যর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। শনিবার ক্যাম্প ন্যুতে নাপোলি অঘটন ঘটালে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আরও বিবর্ণ হত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ফুটবলপ্রেমীদের উৎকণ্ঠা দূর করলেন মেসি। নিজে স্কোরশিটে নাম তুললেন। এছাড়া দলকে পেনাল্টি পেতে সাহায্য করলেন। ফলস্বরূপ, ঘরের মাঠে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিল বার্সেলোনা। কাতালন ক্লাবটির হয়ে গোল পেয়েছেন যথাক্রমে ক্লেমেন্ট লেঙ্গলেট, মেসি ও লুই সুয়ারেজ। নাপোলির একমাত্র গোলদাতা লরেঞ্জো ইনসিগনে। শেষ আটের লড়াইয়ে জার্মানির পাওয়ারহাউস বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি সেতিয়েন-ব্রিগেড।
শেষ কয়েক সপ্তাহ খুব একটা ভালো কাটেনি বার্সেলোনার। লা লিগা খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি কোচ সেতিয়েনকে নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত থাকা সত্ত্বেও শনিবার ক্যাম্প ন্যু’য়ে মূল্যবান জয় তুলে নিলেন মেসি-গ্রিজম্যানরা। প্রথম লেগে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার অ্যাওয়ে গোলের অ্যাডভান্টেজ নিয়েই মাঠে নেমেছিল কাতালন জায়েন্টরা। তবে শুরুতে কিছুটা এলোমেলো দেখায় বার্সাকে। মূলত নাপোলির পাসিং ফুটবলের সামনে চাপে পড়ে যান পিকে, র্যাকিটিচরা। দু’মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল গাতুসো-ব্রিগেড। তবে তা হাতছাড়া হওয়ায় কোনওক্রমে হাফ ছেড়ে বাঁচে বার্সা শিবির। পক্ষান্তরে, ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পান মেসিরা। র্যাকিটিচের ভাসানা কর্নার থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার লেঙ্গলেট (১-০)। হেড করার আগের মুহূর্তে বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ধাক্কা মারেন তিনি। তবে ভারের সাহায্য নিয়ে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন রেফারি।
এরপর ২৩ মিনিটে ফুটবল জাদুকর মেসির পা থেকে আসে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল (২-০)। অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষ বক্সে পাঁচ ফুটবলারকে কাটিয়ে ভারসাম্য হারানোর আগের মুহূর্তে বাঁ পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে জাল কাঁপান আর্জেন্তাইন মহাতারকা। নিমেষের মধ্যে এই গোলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও ট্যুইটারে মেসি-বন্দনায় মেতে ওঠেন। সাত মিনিট বাদে আবারও জাল কাঁপিয়েছিলেন এলএমটেন। কিন্তু ভারের সহযোগিতায় তা বাতিল হয়। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ৩-০ করেন সুয়ারেজ। এই গোলের ক্ষেত্রেও মেসির অবদান রয়েছে। বক্সের মধ্যে বার্সা অধিনায়ককে ফাউল করেন নাপোলি ফুটবলার কৌলিবেলি। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে ব্যবধান কমায় নাপোলি। বক্সের মধ্যে র্যাকিটিচের ভুলে পেনাল্টি পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। যা থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল হয়নি ইনসিগনের। দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে রেখে ৩-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি মেসিদের। পরিসংখ্যান বলছে, টানা ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে রক্ষণ নিয়ে অবশ্যই উদ্বেদে থাকতে হবে বার্সেলোনা কোচ কিকে সেতিয়েনকে। কারণ, নাপোলির আক্রমণের সময় মাঝেমধ্যেই অসহায় দেখিয়েছে লেঙ্গলেট-জর্ডি আলবাদের।