ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-২ : রিয়াল মাদ্রিদ-১
(স্টার্লিং, হেসাস)          (বেনজেমা)
(দু’লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী ম্যান সিটি)

ম্যাঞ্চেস্টার: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলল না জিদান ম্যাজিক। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে প্রথম ইনিংসে টানা তিনবার দলকে ইউরোপ সেরা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তাঁকে শুধুই ব্যর্থতা উপহার দিল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে হারের পর ফিরতি লেগেও জয়ের দেখা পেল না ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। দু’লেগ মিলিয়ে ফল ৪-২। অ্যাওয়ে ম্যাচে মূলত রক্ষণের ভরাডুবিতে হার মানল জিদান-ব্রিগেড। রায়াফেল ভারানে একাই দলকে ডোবালেন। তাঁর ভুলেই ম্যাচে দু’গোল হজম করে রিয়াল। সিটির হয়ে গোল দু’টি করেন যথাক্রমে স্টার্লিং ও হেসাস। রিয়ালের একমাত্র গোলদাতা বেনজেমা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলে জিতেছিল সিটি। স্ট্র্যাটেজির লড়াইয়ে জিনেদিন জিদানকে টেক্কা দিয়েছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। কোয়ার্টার- ফাইনালে পৌঁছনোর জন্য রিয়ালকে দু’গোলে জিততে হতো। তবে রক্ষণে র‌্যামোসের না থাকার মূল্য চোকাতে হল কোচ জিদানকে। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই প্রতিপক্ষ বক্সে চাপ বাড়াতে থাকেন ডি ব্রুইন-হেসাসরা। সিটির প্রেসিং ফুটবলের সামনে খেই হারিয়ে ফেলেন কুর্তোয়া-ভারানে। নিজেদের মধ্যে পাস দেওয়া নেওয়া করতে গিয়ে হেসাসের কাছে দলের দখল হারান ভারাসে। যা পেয়ে বক্সের মধ্যে ফাকা দাঁড়িয়ে থাকা স্টার্লিংকে পাস বাড়ান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। সেই বল গোলে ঠেলে দিয়ে সিটি জার্সিতে শততম গোলটি সেরে ফেলেন স্টার্লিং (১-০)। ম্যাচে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ ছিল হ্যাজার্ড-ক্রুজদের। ২৯ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে দলকে সমতায় ফেরান বেনজেমা (১-১)।
প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। বিরতির পর রিয়ালের পর জাঁকিয়ে বসে সিটি। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে তারা। যার অন্যতম স্থপতি বেলজিয়ান মিডিও কেভিন ডি ব্রুইন। তাঁর চোরা গতির সামনে বারবার হার মানতে থাকেন রিয়াল ফুটবলাররা। এই পর্বে সিটির একাধিক আক্রমণ তৎপরতার সঙ্গে রুখেছেন বিপক্ষ গোলরক্ষক থিবাউট কুর্তোয়া। তবে ৬৮ মিনিটে আবার ভারানের ভুলে গোল হজম করে রিয়াল। চাপের মুখে হেডে ব্যাক পাস করলে তা কুর্তোয়ার কাছে পৌঁছবার আগেই বল গোলে ঠেলে দেন গ্যাব্রিয়েল হেসাস (২-১)। এরপর আর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগই পায়নি রিয়াল। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে সিটি। জিদানর চোখে তখন শুধুই শূন্যতা।