গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার এফএসডিএলের এক কর্তা বললেন, ‘গতবারের দশটি দলের অংশ্রগ্রহণ নিশ্চিত। তার মানে এই নয় যে, ইস্ট বেঙ্গলের দরজা একেবারে বন্ধ। যাবতীয় শর্ত পূরণ করেই এগারো নম্বর দল হিসেবে ওদের আইএসএলে খেলতে হবে। মনে রাখবেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ইস্ট বেঙ্গলকে প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনও আমাদের এই ব্যাপারে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কলকাতার ক্লাবটি এখনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি। গত এক সপ্তাহ একেবারে উপরের মহলের সঙ্গে লাল-হলুদ কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। শুক্রবার প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক ব্যাপার নিয়ে আমাদের জরুরি সভা রয়েছে। এখানেই ঠিক হতে পারে ইস্ট বেঙ্গলকে আরও সময় দেওয়া হবে কি না। এছাড়া গোয়ার কোন তিনটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে তা শুক্রবারই ঠিক হবে।’
জানা গেল, কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই ইস্ট বেঙ্গলের। এখন নর্থ-ইস্ট কিংবা ওড়িশা এফসি’র সঙ্গে সংযুক্তিকরণের জন্য আইএফএ এবং অসম ফুটবল সংস্থা বা ওড়িশা ফুটবল সংস্থার এনওসি’র প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে পেপার ওয়ার্ক করার সময় নেই। ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা গত সপ্তাহে বলেছিলেন,‘অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ভাবছি না। তাতে সমস্যা অনেক।’ দিন তিনেক আগে ইস্ট বেঙ্গলের সহ- সচিবের একটি মন্তব্যে সংযুক্তিকরণের জল্পনা ভেসে উঠেছিল। কিন্তু এখন সেই প্রশ্ন উঠছে না। তবে কী করছেন ইস্ট বেঙ্গলের কর্তারা? রাজনৈতিক আশ্রয়ে এফএসডিএলের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁরা এখন মুখরক্ষার পথ খুঁজতে ব্যস্ত। এই কৌশল কাজে দেবে কি না তা সময়ই বলবে। তথ্যাভিজ্ঞমহলের ধারণা, আসন্ন আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা ইস্ট বেঙ্গলের কার্যত নেই। এমনকী, আই লিগে খেললে প্রয়োজনীয় ১২ কোটি টাকা জোগাড় করাও লাল-হলুদ কর্তাদের কাছে বেশ কষ্টসাধ্য। তবে হারার আগে হারতে চাইছেন না তাঁরা। সমর্থকদের একাংশ জানতে চাইছেন ক্লাবের ভবিষ্যৎ। এর মধ্যে ক্লাবের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২০-২১ মরশুমে জার্সির ডিজাইন চেয়ে আবেদন করেছেন কর্তারা। মিলেছে প্রচুর সাড়া। তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে সমর্থকদের কাছে জার্সির ডিজাইন চাওয়া কি কৌশলী চাল? এদিকে, গত দুই মরশুম ইস্ট বেঙ্গলে খেলা কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা নিজের দেশের ডেপোর্তিভো সাপ্রিসা ক্লাবে সই করলেন।