রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আসলে লাদাখ সামীন্তে চীনা ফৌজ নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ভারতীয় সেনাদের। তার পর থেকেই চীনা পণ্য বয়কটের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। ফলে অস্বস্তিতে পড়ে বিসিসিআই। কারণ ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেশকিছু চীনা সংস্থা যুক্ত রয়েছে কিংবা তাদের বিনিয়োগ রয়েছে। বিশেষ করে আইপিএলের মূল স্পনসর ভিভোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর চাপ বাড়ছিল। কিন্তু বিসিসিআই কর্তারা তাতে আমল দিচ্ছিলেন না। তারই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, ভিভো নাকি নিজে থেকেই সাময়িকভাবে আইপিএলের মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে বিসিসিআই’কে চিঠি পাঠিয়েছে। সেই প্রস্তাব লুফে নিতে দেরি করেননি বোর্ড কর্তারা। কারণ তাতে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। ভিভোর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তি ২০২২ পর্যন্ত। প্রত্যেক মরশুমে সংস্থাটি এর জন্য দেয় প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা। তাই আচমকাই আইপিএলের মূল স্পনশিরশিপ থেকে ভিভোকে সরিয়ে দিলে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। কিন্তু চীনের সংস্থাটি নিজে থেকেই যেহেতু সরে দাঁড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছি, তাই বোর্ডের আর কোনও দায় থাকবে না। জানা গিয়েছে, দু-একদিনের মধ্যে ২০২০ আইপিএলের মূল স্পনসর চেয়ে বিজ্ঞাপন দেবে বোর্ড। আইপিএল ও ভিভোর সম্পর্ক যে ছিন্ন হচ্ছে, সেটা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। তিনিই বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে জানান, এবছর ভিভো আইপিএলের টাইটেল স্পনসর থাকছে না। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তবে এটাও শোনা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালের আইপিএলের স্পনসর হিসেবে ফিরে আসতে পারে ভিভো। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, সব কিছুই কী লোক দেখানো। প্রধামন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। বিসিসিআই কি সেই পথে হাঁটতে চায় না?