কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউএই যাওয়ার আগে প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের দু’বার কোভিড-১৯ টেস্ট হবে। আর সেটা চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে। তারপর থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। যদি কেউ কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েন, সেক্ষেত্রে তাঁকে আলাদা করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার ফের পরীক্ষা করাতে হবে। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ ইউএই যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন।
এখানেই শেষ নয়। আরব আমিরশাহি পৌঁছানোর পর আরও কড়া অনুশাসন মেনে চলতে হবে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব দেশটিতে পা রাখার পর প্রত্যেক দলকেই বাধ্যতামূলকভাবে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেই সময় দলের কেউ একে অপরের সঙ্গে হোটেলের রুমেও আড্ডা দিতে পারবেন না। ওই পর্বে তিনবার কোভিড টেস্ট হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই জৈবিক সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ এবং অনুশীলনে নামার ছাড়পত্র মিলবে। শুধু তাই নয়, ৫৩ দিনের টুর্নামেন্টে প্রত্যেক পাঁচ দিন অন্তর ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোভিড পরীক্ষা করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিসিআই। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও বেশি পরীক্ষা করাতে চায়, তাহলে বোর্ডের কোনও আপত্তি থাকবে না। তবে ইউএই সরকারের ল্যাব থেকেই সব পরীক্ষা করাতে হবে। প্রত্যেক বিদেশি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফকেও ইউএই যাওয়ার বিমান ধরার আগে দু’বার কোভিড টেস্ট করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলেও থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে।
আইপিএলের সময় ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ব্যাপারটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দলগুলির উপর। তবে বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা জৈবিক বলয়ের বাইরে যেতে পারবেন না। অন্য পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। ট্রেনিং ও ম্যাচের সময় প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিসিয়াল এরিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। নিয়ম লঙ্ঘন করলে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। পরে রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই আবার জৈবিক বলয়ে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।