পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি সুপার ওভার পডকাস্ট নামক এক অনুষ্ঠানে সুরেশ রায়না বলেছিলেন, ‘রোহিত শর্মা ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী এমএস ধোনি।’ ভারতীয় দলের এক ক্রিকেটারের মুখে অন্য দুই সতীর্থের এমন তুলনা বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয় রোহিতকে। ট্যুইটারে রায়নার মন্তব্য নিয়ে এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সুরেশ রায়নার মন্তব্য শুনেছি। এটা কোনও যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ নয়। ধোনি নিজেকে একটা প্রতিষ্ঠানের উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছে। ওর মতো আর কেউ হতে পারে না। তাই এ ধরনের তুলনা করা উচিত নয়। মনে রাকতে হবে, প্রতিটি ব্যক্তিই আলাদা এবং তার আলাদা শক্তি এবং দুর্বলতা রয়েছে।’ উল্লেখ্য, ভারতের স্টপগ্যাপ অধিনায়ক হিসেবে বেশ কয়েকবার দায়িত্ব পালন করেছেন রোহিত শর্মা। যখনই সুযোগ পেয়েছেন সেটাকে কাজে লাগিয়েছেন। তা সে ২০১৮ সালে নিধহাস ট্রফি হোক কিংবা এশিয়া কাপ জয়। আইপিএলে রেকর্ড চারবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। মোদ্দা কথা, অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার দক্ষতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। অন্যদিকে, সাফল্যের দিক দিয়ে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কের শিরোপা এখনও পর্যন্ত রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির মাথায়। আইসিসির তিনটি ট্রফিই রয়েছে তাঁর ক্যাবিনেটে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে এই রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
এদিকে, ভারতের প্রাক্তন তারকা যুবরাজ সিং এদিন জানিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাঁর যে জায়গা হবে না, সেটা ধোনির কাছ থেকে আগেই জেনে গিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে যুবি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঞ্জাবের হয়ে আমি ভালো পারফর্ম করেছি। আশা করেছিলাম, বিশ্বকাপ দলে ডাক পাব। তবে ধোনিই সেই সময় আমাকে আসল চিত্রটা দেখিয়ে দেয়। সে বলেছিল, বিশ্বকাপে নির্বাচকরা তোমার দিকে নজর দিচ্ছে না। ধোনি আমার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু সারা বিশ্বের ক্যাপ্টেনরাই কঠোর হন। তা তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি হোন কিংবা রিকি পন্টিং।’ যুবরাজ সেই সঙ্গে বলেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপের আগে ধোনি আমাকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। ও বলতো, তুমিই আমার প্রধান ক্রিকেটার। আমি সেই মতো নিজের সেরাটা সব সময় মেলে ধরার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তারপর অসুস্থতার পর্ব কাটিয়ে ফিরে দেখলাম দলে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। যা অবাক করেছিল আমাকে।’