বার্সেলোনা: করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বের বাকি ক্লাবগুলির মতো আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি বার্সেলোনা। পরিসংখ্যান বলছে, মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ইউরো। ফলে আসন্ন মরশুমে নতুন ফুটবলার সই করানোর ব্যাপারে অহেতুক অর্থ খরচ করতে নারাজ ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তোমেউ। অর্থাৎ, ২০২০-২১ মরশুমেও বার্সেলোনায় ফেরা হচ্ছে না নেইমারের। প্যারি সাঁজাঁ ছেড়ে ব্রাজিলিয়ান তারকাটি প্রাক্তন ক্লাবের জার্সি গায়ে গলাতে চাইলেও বার্সা প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি বড়ই জটিল। করোনা কবে বিদায় নেবে তা কেউই জানেন না। তাই এখন অর্থ খরচের আগে একবার কিংবা দু’বার নয়, তিনবার ভাবতে হবে। আমার ধারণা, এই আর্থিক সমস্যা আগামী তিন-চার বছর সামলাতে হবে বিশ্বের প্রতিটি ক্লাবকে। স্পষ্ট বলে রাখা ভালো যে, নেইমারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করার মতো জায়গায় নেই আমরা। আর মনে হয় না, পিএসজিও ওকে বিক্রি করতে চাইবে। লাওতারো মার্টিনেজকে নিয়ে ইন্তার মিলানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল ঠিকই, তবে আপাতত তা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছি। মাঠে দর্শক সমাগম না হলে অর্থ উপার্জনের একাধিক পথ বন্ধ। তাই সবদিক বিচার করেই এগতে হবে বার্সেলোনাকে।’
এদিকে, শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বারবার বার্সেলোনা কোচের পদে কিকে সেতিয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লা লিগা হাতছাড়া হওয়ার পর তাঁর বিদায়ঘণ্টা বেজেই গিয়েছিল। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব কর্তারা তাঁকে শেষ সুযোগ দিতে চাইছেন। ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হলে আসন্ন মরশুমে সেতিয়েনের চেয়ারে দেখা যেতে পারে মরিসিও পোচেত্তিনোকে। উল্লেখ্য, গত মরশুমে তাঁর হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। যদিও এবার প্রিমিয়ার লিগে দল আশাপ্রদ পারফরম্যান্স না করায় তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তারপর থেকেই চাকরিহীন আর্জেন্তাইন পোচেত্তিনো। উল্লেখ্য, বার্সেলোনার আরেকটি ক্লাব এস্প্যানিয়লের হয়ে খেলা এবং কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পোচেত্তিনোকে খোলা মনে মেনে নিতে পারবেন না বার্সার সমর্থকদের একাংশ। বছর দুয়েক আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বার্সেলোনায় কোচিং করানো ঠিক হবে না।’ তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো। তাই ভবিষ্যতে ন্যু ক্যাম্পের হটসিটে পোচেত্তিনোকে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।