কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয়চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ২৭। প্রতি চার মাস অন্তর বেতন পান তাঁরা। এই বাবদ বোর্ডের বার্ষিক খরচ হয় ৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু ভারতীয় দলের জনা দশেক ক্রিকেটার ওই ইংরাজি দৈনিককে জানিয়েছে, তাঁরা গত দশ মাসে কোনও বেতন পাননি। বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি। অথচ গত মার্চে লকডাউনের গোড়ার দিকে বোর্ড কর্তারা বড় গলায় বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের বেতন ও প্রাপ্য অর্থ যথা সময়ে মিটিয়ে দেওয়া হবে। কোভিডের কোনও প্রভাব পড়বে না। তারপর কেটে গিয়েছে আরও চার মাস। কিন্তু কোহলি, রোহিতরা বেতন থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার!
২০১৮ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, নগদ ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স মিলিয়ে মোট ৫৫২৬ কোটি টাকা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ প্রায় ২৯৯২ কোটি টাকা। তার উপর ২০১৮ সালে সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে নতুন চুক্তির ফলে বিসিসিআই আরও প্রায় ৬১৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, ক্রিকেটারদের প্রাপ্য বেতন কেন আটকে রাখা হয়েছে? অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এখন ডামাডোল অবস্থা চলছে। সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও সচিব জয় শাহর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আদৌ আর পদে থাকতে পারবেন কিনা তা নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডের কোনও ফিনান্সিয়াল অফিসার নেই। গত মাসে জেনারেল ম্যানেজার এবং সিইও’কে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে পদত্যাগ করতে। এই অবস্থায়, বেতন সমস্যা কীভাবে মিটবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘আইপিএল না হলে বোর্ডের প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হত। সেই ধাক্কা সামলে ওঠা সহজ ব্যাপার ছিল না। তাই বেশ কিছু পেমেন্ট থমকে গিয়েছিল। আইপিএলের সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই পেমেন্ট সমস্যাও মিটে যাবে।’