বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সেই বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢাললেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব। তাঁর দাবি, অ্যাথলিট হিসেবে ইমরান, হ্যাডলি ও বথামের মিলিত যোগফলের চেয়েও তিনি এগিয়ে ছিলেন। যদিও নিজেকে সরাসরি সর্বকালের সেরা হিসেবে জাহির করেননি কপিল। ভারতের মহিলা দলের কোচ ডব্লুভি রামনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বলেছেন, ‘নিজেকে গ্রেটেস্ট অলরাউন্ডার বলে দাবি করছি না। তবে ওই তিন জনকে একত্রিত করলে যা ফলাফল দাঁড়ায়, তার চেয়ে অবশ্যই ভালো অ্যাথলিট ছিলাম আমি।’
অ্যাথলিট হিসেবে কপিলের খ্যাতি ছিল কেরিয়ারের শুরু থেকেই। ভারতের হরিয়ানা থেকে উঠে আসা তরুণ শৈশবে সব ধরনের খেলাতেই ছিলেন দারুণ পারদর্শী, যার সুফল তিনি পেয়েছেন ক্রিকেট মাঠে। ফিল্ডিংয়ে বরাবরই কপিল ছিলেন দলের সেরা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভিভ রিচার্ডসের সেই দুর্দান্ত ক্যাচ আজও অনেকের মনে ভাসে। শুধু তাই নয়, কপিলই ছিলেন প্রথম ভারতীয় পেসার, যাঁর গতি আতঙ্কে রাখত বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। আবার ব্যাট হতেও ছিলেন ততটাই বিধ্বংসী। সবমিলিয়ে কপিল যথার্থ অর্থেই ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলিট। তাই হয়তো এমন দাবি করেছেন কপিল। তবে অ্যাথলিট হিসেবে নিজেকে এগিয়ে রাখলেও চার অলরাউন্ডারের মধ্যে সেরা বোলার হিসেবে হ্যাডলিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকার প্রশংসা করতে গিয়ে কপিল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সেরা বোলার ছিল হ্যাডলিই। সে ছিল একেবারে কম্পিউটারের মতো নিখুঁত।’ এরপর পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটা বলব না যে ইমরান খান সেরা ছিল বা ওর প্রতিভা সহজাত ছিল। তবে আমার দেখা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী ছিল ও। যখন কেরিয়ার শুরু করেছিল তখন সাদামাটা বোলারের মতোই লাগত ওকে। কিন্তু প্রচণ্ড পরিশ্রম ও সঙ্কল্পের দ্বারা হয়ে ওঠে ভালো ফাস্ট বোলার। তারপর নিজের ব্যাটিং নিয়েও খুব খাটাখাটনি করেছিল ইমরান। আর সে জন্যই সম্ভব হয়েছিল এমন এক উচ্চতায় পৌঁছানো।’
তবে আশির দশকের চার কিংবদন্তির মধ্যে ইয়ান বথামকে ‘ট্রু অলরাউন্ডার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কপিলের কথায়, ‘বথাম ছিল সত্যিকারের অলরাউন্ডার। কন্ডিশন ঠিক থাকলে একাই সে ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারত। হ্যাডলিকে আমি সেরা ব্যাটসম্যান বলব না। কিন্তু বথাম ব্যাট ও বল— দুই বিভাগেই প্রতিপক্ষকে ভোগাত। ইমরান অবশ্য বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে পারত। তবে অধিনায়ক হিসেবে আরও ভালো সে। আর সেই কারণেই ওর সময়ে পাকিস্তান দলটাকে সামলানো কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল।’