বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এই প্রসঙ্গে বুলা চৌধুরি বলছিলেন, ‘বিশ্বের একমাত্র সাঁতারু হিসেবে আমি পাঁচ মহাদেশের সাতটি ভয়ঙ্কর সাগর অতিক্রম করেছি। দীর্ঘ সাঁতার জীবনে ডলফিন আমার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিল। তাই তাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে এই ব্র্যান্ড লোগোর ডিজাইন আমিই তৈরি করে দিয়েছি।’ ক্রিকেট, ফুটবলের রমরমার বাজারে এক সাঁতারুর কীর্তিকে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নবীন প্রজন্ম যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখে গর্বিত তিনি।
সাঁতার জীবন শেষ করার পর রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন বুলা চৌধুরি। কিন্তু সেই ইনিংস তাঁর দীর্ঘায়িত হয়নি। এখন তাঁর চোখে ভাসছে ভবিষ্যতের সাঁতারু তৈরির স্বপ্ন। তিনি বলছিলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি। আবাসিক সাঁতার অ্যাকাডেমি করার মতো পরিকাঠামো পাচ্ছি না। বাম আমলে পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এই ব্যাপারে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, সরকারি আনুকূল্য না পেলে আমার নিজের ক্ষমতায় অ্যাকাডেমি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তবে স্টিচড লাইফ সংস্থাকে বলেছি, আমার নামাঙ্কিত টি-শার্ট থেকে যে টাকা উঠবে, তা সাঁতার অ্যাকাডেমি তৈরির কাজে লাগাতে চাই।’ চাকরি ছেড়ে এখন পুরোপুরি বাড়িতেই রয়েছেন বুলা চৌধুরি। স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীও প্রাক্তন সাঁতারু। বুলা আক্ষেপের সঙ্গে বলছিলেন, ‘আমরা সাঁতারু দম্পতি। অথচ আমাদের অভিজ্ঞতা কেউ কাজে লাগাতেই পারছে না। এটাই সবচেয়ে খারাপ লাগে। রাজনীতি করার জন্য অনেক দল আমায় ডাকছে। কিন্তু ওই পুকুরে আর নামতে চাই না। সাঁতারই আমায় পরিচিতি দিয়েছে। তাই এই খেলাটিকে কিছু ফিরিতে দিতে পারলে ভালো লাগবে। মনে হবে, কর্তব্য পালন করতে পেরেছি।’