বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সেদিন ইন্দোনেশিয়ার টিম পার্সিতার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনালে শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ে দেবজিৎ মাথায় নীচের দিকে চোট পান। জ্ঞান ছিল না প্রায় দু’ঘণ্টা। স্মৃতি সততই তাঁর কাছে সুখের নয়। স্মৃতিচারণায় দেবজিৎ জানালেন, ‘‘ডগলাসের জন্য জীবন ফিরে পেয়েছি। তৎপরতার সঙ্গে ও মাঠেই আমার প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিল। ভোলা যাবে না শান্তিদার (ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত) ভূমিকাও। সেই সময় একজন ডাক্তারের কাছে ভোমেরন ইঞ্জেকশন থাকার কথা ভাবাই যেত না। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর জ্ঞান ফেরার মুহূর্তে মনে পড়ল, ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে ছিলাম। শান্তিদাই আমাকে বললেন, ‘দুশ্চিন্তা করিস না। বিজেন (সিং) গোল করে সমতা ফিরিয়েছে। বাইচুং দলকে জিতিয়েছে।’ যা শুনে স্বস্তি পেলাম। তখনও আমার স্যালাইন চলছে। পরিষ্কার বললাম, রাতে হাসপাতালে থাকতে হলে পালিয়ে যাব। নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে স্ট্রেচারে করে স্যালাইনসহ হোটেলের ঘরে নিয়ে আসা হল আমায়। সারা রাত জেগে আমর দেখভাল করেছিল রুমমেট চন্দন দাস।’
২০০৩ সালের ২৬ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে আশিয়ান কাপ জয়ের পতাকা উড়িয়েছিল লাল-হলুদের সোনার টিম। সেই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে কোচ সুভাষ ভৌমিকের অনবদ্য ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা। আর তাঁর প্রিয় ছাত্র দেবজিৎ ঘোষ এই প্রসঙ্গে একটা মজার ঘটনা বললেন। তাঁর কথায়, ‘‘আশিয়ান কাপ খেলতে যাওয়ার আগে কলকাতার একটি নামী হোটেলে আমাদের আবাসিক শিবির হয়েছিল। ভৌমিকদা একদিন আমায় নিজের ঘরে ডাকলেন। বললেন, ‘ছেলে আমায় মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে। কীভাবে তা অপারেট করব তা শিখিয়ে দে। আশিয়ান কাপের সেমি-ফাইনালে উঠতে পারলে তোকে এই হ্যান্ডসেট দিয়ে দেব।’ আমি বলেছিলাম, সেমি-ফাইনাল কেন? আমরা তো ফাইনাল খেলব। ভৌমিকদা তৎক্ষণাৎ সেই কথা উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোর যত বড় বড় কথা।’ যা শুনে জেদ চেপে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে নেমে নতুন একটি মোবাইল সেট আমায় উপহার দিয়েছিলেন উনি। এমন টুকরো কিছু ঘটনাই দলের স্পিরিট বাড়িয়ে দিয়েছিল। মনে আছে, ফাইনালের আগের দিন কোচ বলেছিলেন, ‘তোমরাই ঠিক করো প্রতিপক্ষের থেকে শিখবে, না শেখাবে।’ যা শুনে রক্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। কোনও সন্দেহ নেই, সুভাষ ভৌমিক কোচ হিসেবে একেবারেই আলাদা। দলটা পরে ভেঙে না গেলে আমরা আরও সাফল্য পেতে পারতাম।’