বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মনের ডায়েরির পাতা উল্টে সুভাষের অতীতচারণ, ‘ফিটনেসের মান বাড়াতে কেভিন জ্যাকসনকে বেছে নিয়েছিলাম। যা প্রচণ্ড কাজে দিয়েছিল। জাকার্তায় প্রায় পিক কন্ডিশনে পৌঁছেছিল দল। প্রথম ম্যাচে টুর্নামেন্টের কঠিনতম দল বেকতেরো সাসানার কাছে তীব্র লড়াই করে এক গোলে হেরে যাই। তবে ওই ম্যাচ থেকে নেওয়া শিক্ষাকে সম্বল করেই ফাইনালে ওদের বশ মানিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচেই আর্মি একাদশকে ছ’গোলে বিধস্ত করে ছন্দে ফিরেছিল দল। নায়ক বাইচুং। তার আগের মরশুমে ও ছিল মোহন বাগানে। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোর পর আশাপ্রদ খেলতে পারেনি। মোহন বাগান ওকে রাখল না। কল্যাণ মজুমদারও দুম করে বলে দিলেন, ইস্ট বেঙ্গলে বাইচুংয়ের স্থান নেই। শেষ পর্যন্ত রীতিমতো যুদ্ধ করে ওকে সই করালাম। ১৯৭৩ সালে মোহন বাগান থেকে ইস্ট বেঙ্গলে আসার পর প্রদীপদা যেভাবে আমাকে তৈরি করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই বাইচুংকে গড়েপিঠে নিয়েছিলাম।’
সাফল্যের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে ভোম্বলবাবুর বিশ্লেষণ,‘ফুটবলারদের নিয়ে পার্ক হোটেলের কফি শপে, সিসিএফসি কিংবা বাড়ির ড্রইং-রুমে অনেকদিন বসেছি। দলের মধ্যে তৈরি হয়েছিল বন্ডিং। কোয়ার্টার-ফাইনালে পারসিতার বিরুদ্ধে দেবজিৎ মাথায় চোট পেল। আমি আর টিম ম্যানেজার হাসপাতালে রাত জেগেছিলাম। পরে দেবজিতের অভাব ঢেকে দিয়েছিল ডগলাস। প্রত্যেকে আমার চাহিদা পূরণ করেছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কলকাতায় ফিরে সবাই তো অবাক। সমর্থকদের উৎসাহ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না। ফোকাস হারিয়ে ফেললাম। যুবভারতীর বৃষ্টিভেজা মাঠ নিয়ে ‘বিপ্লব’ করতে গিয়ে ফেড কাপের প্রথম ম্যাচে ভাস্কোর কাছে হারলাম। মুঠোয় থাকা ফেড কাপ পড়ে গিয়েছিল সেদিন। সেই ধাক্কা সামলে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে এএফসি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছেছিল ইস্ট বেঙ্গল। ২০০৩-০৪ মরশুমে জিতলাম জাতীয় লিগ। কিন্তু পরের মরশুমের শুরুতে কলকাতায় এয়ারপোর্ট হোটেলে দু’দিন কাটিয়ে মাহিন্দ্রার হেনরি মেনজিস তুলে নিল সন্দীপ, দীপক মণ্ডল, মহেশ, সুরকুমার, কুলুথুঙ্গনদের। ওরা এয়ারপোর্ট হোটেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তৎকালীন ফুটবল সচিব বাবু ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেছিলাম, সুরকুমার-সন্দীপসহ সকলকেই রেখে দিতে। কিন্তু তা রাখা হয়নি। আর তার ফলেই জাতীয় লিগে ইস্ট বেঙ্গলের হ্যাটট্রিক হয়নি। অনভিজ্ঞতার জন্য শেষ দুই রাউন্ডে ছিটকে গেলাম খেতাবি দৌড় থেকে। আশিয়ান কাপের বছরে সেট টিম ভেঙে দেওয়া ক্লাবের ঐতিহাসিক ভুল। তারপর জাতীয় লিগ কিংবা আই লিগ ঢোকেনি লাল-হলুদ তাঁবুতে। মনে হয়, সেই ভুলেরই প্রায়শ্চিত্ত করছে ক্লাব। আশিয়ান দিবস এলে তাই মন খারাপ হয়। মনে পড়ে, ফোনের ওপার থেকে বাবু ভট্টাচার্যের সেই কথা, ‘কোচ, ওরা চলে গেলে যাক! আপনি ঘুমিয়ে পডুন!’