বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন ধোনি। তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। একদা সতীর্থরাও মাঝেমধ্যে মুখ খুলছেন প্রাক্তন দলনেতাকে নিয়ে। সেই তালিকায় রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহালও। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ধোনি ভাইয়ের ঠাণ্ডা মাথা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য একেবারে আদর্শ অধিনায়ক। সব ধরনের সমস্যার সমাধান ওর কাছে ছিল। যাকে বলে সত্যিকারের মুশকিল আসান ক্যাপ্টেন! আর সে জন্যই ওর হাত ধরে এত সাফল্য আমরা পেয়েছি। বিশেষ করে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে ধোনি ভাইয়ের মস্ত বড় ভূমিকা ছিল।’ চাহাল আরও বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালীন বোলারদের নানা পরামর্শ দিত ধোনি। বোলিং খারাপ হলে তৎক্ষনাৎ এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় টিপস দিয়ে যেত। সত্যি বলতে কী, কুলদীপ যাদব এবং আমার জন্য সমাধানের সূত্রাধার ছিল অধিনায়ক ধোনি। মনে রয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটা ম্যাচে আমি পাঁচ উইকেট নিয়েছিলাম। তবে এক প্রান্তে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা জেপি ডুমিনিকে কিছুতেই আউট করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ধোনির পরামর্শেই তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলাম।’
পাশাপাশি ২০১৭ সালে ভারত সফরে আসা অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে নিজের সাফল্যের নেপথ্যে ধোনিকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন চাহাল। বিশেষ করে বিধ্বংসী গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আটকানোর জন্য ধোনি তাঁকে যে টিপস দিয়েছিলেন, তা আজও ভোলেননি তারকা স্পিনারটি। সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে’র উদাহারণ দিয়ে চাহাল বলেন, ‘মাহিভাই আমাকে বলে দিয়েছিল ম্যাক্সওয়েলকে নাগাড়ে অফস্টাম্পের বাইরে একটু টেনে বল করার জন্য। একেবারে অব্যর্থ দাওয়াই। বেশ কয়েকটা ডটবলের পর ও স্টেপ আউট করে লাইন মিস করল। আমিও পেয়ে গেলাম মূল্যবান একটা উইকেট।’