পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রুদ্ধশ্বাস প্রেক্ষাপট: ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের জবাবে দলের স্কোর দেড়শো পেরনোর আগেই ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। হাফ-সেঞ্চুরি করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন সৌরভ। আউট হয়ে গিয়েছিলেন শচীন, সেওয়াগ, রাহুল, দীনেশ মোঙ্গিয়াও। তবু হাল ছাড়েননি যুবরাজ এবং কাইফ। বাকি ২৬ ওভারে ১৮০ রান তোলার কঠিন চ্যালেঞ্জকে নিজেদের প্রতিষ্ঠার মঞ্চ হিসেবে লুফে নিয়েছিলেন দুই তরুণ। একজনের বয়স ২১। অন্যজনের ২২। তারুণ্যের তেজ দিয়ে অভিজ্ঞতার অভাব ঢেকে দিয়েছিলেন তাঁরা। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ১২১ রানের জুটি। তাও মাত্র ১৭.৪ ওভারে। ইনিংসের ৪২তম ওভারে ৬৯ রান করে আউট হন যুবরাজ। তখনও জয়ের জন্য বাকি ছিল ৫০ বলে ৫৯ রান। ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন শুধু কাইফ একাই। তবু মনোবল হারাননি তিনি। হরভজন সিং, জহির খানদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেন ভারতকে। ম্যাচের তিন বল বাকি থাকতে জয়লাভ করে ভারত। কাইফ অপরাজিত থাকেন ৭৫ বলে ৮৭ রান করে।
আজও রোমাঞ্চিত কাইফ: দেশে ফেরার পর এলাহাবাদে যে উৎসব দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। এমনিতে আমি একটু লাজুক প্রকৃতির। তাই আমাকে ঘিরে এমন উন্মাদনা দেখে খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। মিডিয়া থেকে সাধারণ সমর্থক- কেউ না কেউ সর্বত্র আমাকে অনুসরণ করত। যমুনা নদীর তীরে ঘুড়ি ওড়াতে পছন্দ করতাম আমি। সেখানেও নিস্তার ছিল না। আরও একটা ঘটনা আমার বেশ মনে আছে। যেদিন বাড়িতে ফিরলাম, সেদিন একটা হুড খোলা জিপে করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এলাহাবাদের রাস্তায় মাত্র ৬-৭ কিলোমিটার পথ পেরতেই প্রায় ৪ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। কারণ রাস্তার দুই পাশে ছিল মানুষের ঢল। হাসিমুখে, ফুলের মালা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল সবাই। যখন ছোট ছিলাম, তখন দেখতাম অমিতাভ বচ্চনকে এমনভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হত। সেদিন আমারও নিজেকে অমিতাভ বচ্চন মনে হচ্ছিল। আসলে ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়। তাই মানুষ এই সাফল্যকে এত সম্মান জানিয়েছিল।
যুবরাজের মুখে তারুণ্যের জয়গান: ২০০২, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। জান লড়িয়ে দিয়েছিলাম সেদিন। আমরা তরুণ ছিলাম। মনে ছিল জয়ের প্রবল স্পৃহা থেকে উদ্ভূত তেজ। টিম গেমের দারুণ নিদর্শন রেখে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছিলাম। ঐতিহ্যশালী লর্ডসে উন্মোচিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন দিগন্ত। সিংহভাগ কৃতিত্ব অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ও লড়াকু মহম্মদ কাইফের।