বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০০০ সালের ম্যাকডোয়েল ট্রফিতে মোহন বাগান ৪-৩ গোলে হারায় মহমেডানকে। ব্যারেটো হ্যাটট্রিক করেছিল। মহমেডানের তিনটি গোলই আমার। ডাক পেয়েছিলাম জাতীয় শিবিরে। যদিও মেট্রো রেল, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের প্যানেলে থাকলেও চাকরি পাইনি। এতে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কেন জানেন? ১৯৯৭ থেকে ২০০০ পর্যন্ত আমাদের গ্রামে অধিকাংশ সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের নাম রাখা হয়েছিল নাজিমুল। তাদের কয়েকজন এখন সুকান্তনগরে আমার নিজের হাতে তৈরি ফিউচার হোপ অ্যাকাডেমিতে আছে। ওদের ফুটবলার তৈরি করাই আমার লক্ষ্য। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। প্রয়োজন শুধু লক্ষ্য স্থির রাখা।
অনেকেই জানেন না, ফুটবলার হওয়ার জন্য প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। রাত কাটিয়েছি কলকাতার ফুটপাথেও। আটের দশকের শেষ দিক। মহম্মদ আলি পার্ক সন্নিহিত অনাথ আশ্রমে থাকি। পড়াশোনা করি সূর্য সেন স্ট্রিটের এমএলজুবিলি স্কুলে। তখন পটুয়াটোলা বয়েজ ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করায় বেশ নাম ডাক হয়েছিল। ফলে সিনিয়র আবাসিকদের বিষ নজরে পড়লাম। শীতের রাতে ওরা আমার ঘরে ঢুকে জল ঢেলে দিত। আশ্রমের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। একদিন মনের দুঃখে আশ্রম ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। এক সপ্তাহ কাটিয়েছিলাম কলেজ স্ট্রিট, সূর্য সেন স্ট্রিটের ফুটপাথে। বিভিন্ন জায়গায় খেপ খেলে পাওয়া টাকা জমিয়ে শেষে ফিরতে হয়েছিল বসিরহাটেই। কিন্তু ফুটবলার হওয়ার লক্ষ্যে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি।