কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
আয়ারল্যান্ডের প্রথম বিদেশি কোচ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে ফিজিক্যাল অ্যাটাকিং ফুটবল রপ্ত করেছিলেন আইরিশরা। জ্যাকের কোচিংয়ে ১৯৮৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে ওঠে আয়ারল্যান্ড। দু’বছর পর বিশ্বকাপে জ্যাকের প্রশিক্ষণে কোয়ার্টার-ফাইনালে ইতালির কাছে হার মানে আইরিশ-ব্রিগেড। আমেরিকায় আয়োজিত ১৯৯৪ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল।
শনিবার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শুক্রবার রাতে নর্থল্যান্ডের বাড়িতেই প্রয়াত হন জ্যাক।’ প্রয়াত এই কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচকে সম্মান জানাতে চলতি সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ফুটবলাররা কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামবেন। জুনিয়র স্তর থেকে ফুটবল জীবনের শেষ পর্যন্ত (১৯৫২-১৯৭৩) লিডস ইউনাইটেডের হয়েই তিনি খেলেছেন জ্যাক। লিডসের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ (৭৭৩) খেলার কৃতিত্ব তাঁরই দখলে। ঘরোয়া ফুটবলের সব সম্মানই পেয়েছেন তিনি। ১৯৬৯ সালে লিগ খেতাব জেতে লিডস। গত বছরই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। পাশাপাশি হারাতে থাকেন স্মৃতিশক্তি। ছ’ফুটের বেশি উচ্চতাসম্পন্ন জ্যাক দুরন্ত সেন্টার ব্যাক ছিলেন। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘বিগ জ্যাক’। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফুটবলার হন তিনি। প্রাক্তন আয়ারল্যান্ড ও লিভারপুল মিডফিল্ডার রে হাউটন বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ড ফুটবলে নবজাগরণের পথিকৃৎ জ্যাক চার্লটন। তাঁকে কোনওদিন ভুলবে না আইরিশ ফুটবল!’