কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অনেক পেশাতেই দেখা গিয়েছে, বাবার সাফল্যের ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেননি সন্তানরা। শুধু ক্রিকেট নয়, ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, ব্যবসা বাণিজ্য সহ নানান ক্ষেত্রে। রোহনের ব্যাপরটাও সেরকমই। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি। তবে তার জন্য কোনও আপশোস নেই সানি পুত্রের। মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘যাঁর বাবার নাম সুনীল গাভসকর, সে ক্রিকেট খেলবে সেটাই প্রত্যাশিত। তবে আমি কিন্তু পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে গলি ক্রিকেট খেলেই বড় হয়েছি। আলাদা কোনও সুবিধা নিইনি বা পাইনি। এটা হয়তো ঠিক, ক্রিকেট আমার পরিবারের রক্তে মিশে রয়েছে। সেই সূত্রেই বলতে পারেন আমিও ক্রিকেটকেই জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে দেখেছিলাম। যখনই কোনও সমস্যা হত, বাবার থেকে পরামর্শ নিতাম। উনি আমার ব্যাটিংয়ের ভুল ত্রুটি শুধরে দিতেন। এদিক থেকে আমি ভাগ্যবান ছিলাম। কখনও উনি বিরক্ত হতেন না। অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করেন, গাভাসকর পদবি তোমাকে বিব্রত করে না? আমি তাদের বলি, এটা তো আমার কাছে গর্বের বিষয়। বাবার মতো যদি খেলতে পারতাম তাহলে তো টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারের বেশি রান করে ফেলতাম। সবাই যে সব কিছুতে সফল হবে তার তো কোনও গ্যারান্টি নেই।’
বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রোহন ১১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। সবকটি অবশ্য দেশের বাইরে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১৭টি ম্যাচে তাঁর মোট রান ৬৯৩৮ রান। বাংলার অধিনায়কও ছিলেন। ক্রিকেট ছাড়ার পর বাবার মতোই কমেন্ট্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন জুনিয়র গাভাসকর। রোহন বলছিলেন, ‘কোনও কাজই সহজ নয়। পরিশ্রম করতে হয়। কমেন্ট্রিও তাই। শুরুতে কিছু সমস্যা হত। তখন বাবার থেকে পরামর্শ নিয়েছি। ক্রিকেটারের মতোই কমেন্টটর হিসেবেও বাবা দারুণ সফল। ওঁর জনপ্রিয়তা আমি টের পাই। বাবা বলেন, কমেন্ট্রি করার সময় তিনটি বিষয়ে সতর্ক থাকবে— ১) খেলাটা ভালো করে দেখতে হবে। তবেই সঠিক বিশ্লেষণ সম্ভব। ২) মোইক্রোফোন ধরে বেশি বক বক করবে না। ৩) পাশের জন কী বলছে দেখার দরকার নেই। তুমি যেটা দেখবে ও বুঝবে তার উপর ভিত্তি করইে নিজের মতামত তুলে ধরবে।’
শুক্রবার তো বাবার জন্মদিন? কথা শেষ না হওয়ার আগেই রোহন ফোনের উল্টো দিক থেকে বললেন, ‘দেখুন এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত। তবে এবার করোনার জন্য ধুমধাম করে কিছু হবে না।’