গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের উদ্যোগে ‘দাদা ওপেনস উইথ মায়াঙ্ক’ বলে একটি ওয়েবিনার করা হয়। সেখানে বোর্ড সভাপতি সৌরভ স্বয়ং ছিলেন উত্তরদাতার ভূমিকায়। প্রশ্নকর্তা মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তিনি মহারাজের কাছে জানতে চান, সুযোগ থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপ দলের কোন তিন ক্রিকেটারকে তিনি ২০০৩ বিশ্বকাপে খেলাতেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাহকে বেছে নেন সৌরভ। সেই সঙ্গে কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি। মহারাজ বলেন, ‘খেলা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। আমাদের বোলাররা ভালো পারফর্ম করেছিল। তবুও বুমরাহকে খেলাতাম। রোহিত ওপেন করত, আমি নামতাম তিন নম্বরে। জানি না, সেওয়াগ এই প্রোগ্রাম শুনছে কি না! যদি শোনে তাহলে কাল নিশ্চয়ই ফোন করবে।’
সৌরভ অবশ্য ধোনির নাম করেননি। যদিও মাহি সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মরিয়া লড়াই করেছিলেন। সৌরভ বলেন, ‘ধোনিকে অবশ্যই রাখতাম, কিন্তু আমাকে তিন জনকে বাছতে বলা হয়েছে। তাছাড়া দ্রাবিড়কে উইকেটরক্ষক হিসেবে কাজে লাগাতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। বিশ্বকাপে ও দারুণ কিপিং করেছিল।’
বরাবরের মতোই টি-২০ ক্রিকেটের প্রশংসা শোনা গিয়েছে সৌরভের মুখে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে টি-২০ ক্রিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ থাকলে আমিও নিজেকে এই ফরম্যাটের সঙ্গে সড়গড় করার চেষ্টা চালাতাম। বছর পাঁচেক আইপিএলে খেলেছি এবং উপভোগ করেছি।’
ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন সৌরভ। যা নিয়ে অনেকেই সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। তবে এই ব্যাপারে মহারাজ বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতাটা ছিল আমার ক্রিকেট জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। দুর্দান্ত একটা জয়ের পর যেভাবে আনন্দ করা উচিত সেটাই করেছিলাম। তার থেকে বেশিও হতে পারত।’
বর্তমান ভারতীয় দলের পেস ব্যাটারির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌরভ। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার দলে চিন্তাভাবনার বদল ঘটেছে। সেই কারণে আমাদের পেসাররা এখন বিদেশে গিয়ে এত ভালো পারফর্ম করছে। এর পিছনে কোচিং স্টাফ ও ট্রেনারদের অবদান কম নয়। শুধু জোরে বোলারদের নয়, দলের প্রত্যেক সদস্যের ফিটনেস লেভেল অনেক বেড়েছে। আমার সময়ে ক্যারিবিয়ান পেসাররা গায়ের জোরে বল করত। এখন ভারতীয় পেসারদের শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই প্রতিফলন ঘটছে পারফরম্যান্সে।’