পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ক্লাইড ওয়ালকট, ফ্র্যাঙ্ক ওরেল এবং স্যার এভার্টন উইকস। বিশ্ব ক্রিকেটে এই ক্যারিবিয়ান ত্রয়ী পরিচিত ছিলেন ‘থ্রি ডব্লিউজ’ নামে। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বাইশ গজে আধিপত্য কায়েম করেছিলেন এই তিন কিংবদন্তি। ১৯৪৮ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তিনজনেরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪৮টি টেস্ট খেলা এভার্টন উইকস আবার এই তিনজনের মধ্যে সেরা হিসেবে বিবেচিত হতেন। ফ্র্যাঙ্ক ওরেল ও ক্লাইড ওয়ালকট প্রয়াত হয়েছেন আগেই। ওরেল ১৯৬৭ এবং ওয়ালকট ২০০৬ সালে প্রয়াত হন। এবার ‘থ্রি ডব্লিউজ’-এর অন্তিম সদস্য উইকসও পৃথিবী ছেড়ে গেলেন। ২০১৯ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আর পুরোপুরি সুস্থ হতে পারিননি তিনি। সঙ্গে ছিল বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা।
১৯৪৮-৫৮ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪৮টি টেস্ট খেলেছিলেন উইকস। রান করেন ৪ হাজার ৪৫৫। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৫৮.৬২। সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর ২০৭। মোট আন্তর্জাতিক শতরান ১৫টি। আর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৫২টি ম্যাচে ৫৫.৩৪ গড়ে উইকসের সংগ্রহ ১২ হাজার ১০ রান। যার মধ্যে ৩৬টি শতরান রয়েছে। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটিও তাঁর দখলে রয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিরুদ্ধে ওই ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসরের পরেও প্রিয় খেলাটার সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িত ছিলেন উইকস। আইসিসি’র দক্ষ প্রশাসক এবং ম্যাচ রেফারি হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৭৯-র বিশ্বকাপে কানাডার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন উইকস। ১৯৯৫ সালে ‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। ২০০৯ সালে জায়গা করে নিয়েছিলেন আইসিসি’র হল অব ফেমে।
প্রবাদপ্রতিম উইকসের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন লিখেছে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের আইকনকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। স্যার এভার্টন দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রেখেছেন। তাঁর প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। এভার্টনের আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’ শোক প্রকাশ করেছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবও। এক বিবৃতিতে এমসিসি জানিয়েছে, ‘স্যার এভার্টন উইকসের মৃত্যুতে এমসিসি এবং লর্ডসের সবাই খুবই বিষণ্ণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’