নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় ৮০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার বা বুধবার খুলছে আইএফএ অফিস। সোমবার অফিসটি স্যানিটাইজ করা হবে। মঙ্গলবার শীর্ষ কর্তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অফিসে যাবেন। বুধবার অর্ধেক কর্মী নিয়ে সংস্থার কাজকর্ম চালু করতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। লকডাউনের মাঝে আইএফএ সচিব ক্লাবগুলিকে চিঠি দিয়ে কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে মতামত নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্লাবই খেলতে চেয়েছে। শনিবার আইএফএ সচিব বললেন,‘আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্র চালু না হলে এবং ফিফার আন্তর্জাতিক উইন্ডো না খুললে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন সম্ভব নয়। কারণ তিন প্রধান ছাড়াও পিয়ারলেস, টালিগঞ্জ অগ্রগামী, এরিয়ান বিদেশি ফুটবলার খেলিয়ে থাকে। ভিনরাজ্য থেকে খেলোয়াড় নেয়। তাই আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র ও আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্রের জন্য আমাদের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের আগে ম্যাচ করা সম্ভব নয়। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে দুর্গাপুজো। ফলে টিমগুলিকে প্রাক-মরশুম প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লিগ শুরু করতে চাইছি। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আইএসএল ও আই লিগের সঙ্গেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ একইসঙ্গে আয়োজিত হবে। অতীতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি আইএসএলে খেললে রিজার্ভ টিম নামাবে। তাই তিনটি লিগ একসঙ্গে হতে অসুবিধা নেই। কলকাতা লিগের তিনটি বড় ম্যাচ ছাড়া আর কোনও খেলা এখন যুবভারতীতে হয় না। ময়দানে তিনটি ঘেরা মাঠ ছাড়াও কল্যাণী, বারাসত, খড়দহ, গয়েশপুর, সন্তোষপুর স্টেডিয়াম আছে। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামেও দিনের বেলায় খেলা করতে অসুবিধা নেই। তাই মাঠের অভাব হবে না। তবে সবটাই হবে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে। আমরা এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চিঠি দিয়েছি।
পঞ্চম থেকে প্রথম ডিভিসন লিগের কী হবে? আইএফএ সচিবের উত্তর, ‘এই পাঁচটি ডিভিশনে প্রায় চার হাজার ফুটবলার আছে। এই ডিভিশনে স্থানীয় ফুটবলাররা খেলে। ওদের কথা ভেবে সংক্ষিপ্ত আকারে লিগ করতে চাইছি। প্রতিটি ডিভিশনের মোট ক্লাবকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। তারপর সেমি- ফাইনাল ও ফাইনাল। এই ডিভিশনগুলিতে এবার স্পনসর আছে। তাই লিগ আয়োজন করতেই হবে।’