বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
২০১৮-১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে প্রথম বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল টিম ইন্ডিয়া। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারতীয় দল। তবে কোহলিদের কৃতিত্বকে খাটো করতে গিয়ে মাইকেল ক্লার্ক নিজের দেশের ক্রিকেটারদের নখদন্তহীন মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। প্রতিপক্ষকে স্লেজিং না করার জন্য টিম পেইনদের কটাক্ষ করেন তিনি। তবে স্পোর্টস্ক্রিন নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ডিন জোন্স এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিরাট কোহলিদের ক্ষেত্রে অজিরা কেন চুপচাপ ছিল, তার কারণ আমি জানি। কিছু ব্যাটসম্যান থাকে, যাদের কখনও চটানো উচিত নয়। ভিভ রিচার্ডস ব্যাটিং করার সময় আমরাও চুপ থেকেছিলাম। জাভেদ মিয়াঁদাদ, মার্টিন ক্রোর ক্ষেত্রেও সেটাই করেছি। একই ভাবে বিরাট কোহলি বা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে রাগানোটাও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হত না। ওদের বিরুদ্ধে চুপচাপ থাকাটাই শ্রেয়। মনে রাখা দরকার, ভালুককে অহেতুক খোঁচা দিলে বিপদ অবধারিত।’ জোন্স সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘কোহলির মত বড় ব্যাটসম্যানরা এমন সংঘর্ষের সময়ই বেশি করে জ্বলে ওঠে। তাই ওদের অক্সিজেন জোগানো উচিত নয়। আইপিএলের চুক্তির লোভে বিরাটকে স্লেজ না করার তত্ত্ব একেবারে অসার।’ ভারত অধিনায়কের সাফল্যের রসায়ন বর্ণনা করতে গিয়ে জোন্স বলেন, শারীরিক ভাবে যতটা ফিট, মানসিকভাবেও ততটাই শক্তিশালী কোহলি। ‘কোহলি মানসিকভাবে খুব একটা আপসেট হয় না। চাপের মুখেও হাল ছাড়তে জানে না। আর সেই সঙ্গে রয়েছে ওর অসাধারণ ফিটনেস। এমন ব্যাটসম্যান যে দলে থাকে, তাদের দিকে পাল্লা সব সময়ই ভারি থাকে। গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় দল এই সুবিধাটা ভোগ করছে।’
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন জোন্স। প্রাক্তন অজি ব্যাটসম্যানটি মনে করেন, ‘করোনার জেরে অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। আয়োজক দেশ হিসেবে এত বড় যজ্ঞ আয়োজন করার মতো অবস্থায় নেই আমাদের দেশ। বরং ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ আয়োজন করে আমরা ২২০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারব। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিত সে দিকেই মনোযোগ দেওয়া।’