বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদার। আইনের রক্ষকদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হওয়া জর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্যের যাবতীয় দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। এটাই তাঁর প্রতিবাদের ভাষা বলে জানিয়েছেন মেওয়েদার। তারকা বক্সারটির পাঠানো শেষকৃত্যের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে জর্জের পরিবারও। পরে এক বিবৃতিতে মেওয়েদার বলেছেন, ‘প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েডকে ফেলে হাঁটু দিয়ে কণ্ঠরোধ করে খুন করার দৃশ্য মর্মান্তিক। সভ্য সমাজে এরকম ঘটতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’ জর্জের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে যে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে তাতে নতুন মাত্রা জোগাবে ফ্লয়েড মেওয়েদারের মত কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের যোগদান।
শুধু মেওয়েদারই নন, জর্জের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সমগ্র ক্রীড়াবিশ্ব। সোমবার অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে লিভারপুলের ফুটবলাররা মাঠের মধ্যে গোল হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ।’ ভার্জিল ফন ডিক, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ও অধিনায়ক জর্ডন হেন্ডারসন শামিল হয়েছিলেন এই প্রতিবাদী চক্রে। জর্জের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের পাশাপাশি গোটা ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটন ও উদীয়মান টেনিস প্লেয়ার কোকো গফ। নিজেদের ট্যুইটারে প্রতিবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও ড্যারেন সামি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে রীতিমতো পুলিসি হেফাজতে চলে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড। একটি রেস্তোরাঁয় খাবারের বিল স্বরূপ ২০ ডলার না মেটানোর অভিযোগে পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিস ভ্যানে উঠতে না চাওয়ায় জর্জকে পিছমোড়া করে মাটিতে ফেলে দেয় চার পুলিশকর্মী। এরপর তিনজন তাঁর উপর চেপে বসে। যার মধ্যে ডেরেক চোবিন নামের এক পুলিস অফিসার ডান হাঁটু দিয়ে জর্জের গলা চেপে ধরে। ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড এভাবে অত্যাচারিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান জর্জ। জানা গিয়েছে, একসময় ভালো ফুটবলার ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী আফ্রো-আমেরিকান ব্যক্তিটি। দীর্ঘদেহী জর্জের করুণ মৃত্যুর ভিডিও নাড়িয়ে দিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে। জর্জ ফ্লয়েড।