পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ফেসবুক লাইভে এক প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে আমি কোহলির ভীষণ ভক্ত। ও খুব বড় মাপের ক্রিকেটার। তা রেকর্ড দেখলেই বোঝা যায়। ভারতীয় ক্রিকেটকে বিরাট উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছে কোহলি। ফিটনেসের দিক থেকে ওর ধারেকাছে কেউ নেই। সাদা বলের ক্রিকেটে রান তাড়া করে দলকে বারবার জিতিয়েছে ও।’ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রান মেশিন বিরাটকে কার্যত বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে মেনে নিলেন স্মিথ।
ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে চারটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। গতবার বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে দিয়েছিল। বল বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসিত থাকায় খেলতে পারেননি স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও তাঁরা দলে ঢোকার পর অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে তাই এবার বেশ উত্তেজিত স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভারত খুব শক্তিশালী দল। ওদের ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট মজবুত। গতবার বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা অনবদ্য পারফর্ম করেছিল। অজিঙ্কা রাহানে টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খুবই দক্ষ। পাশাপাশি লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মাদের উপস্থিতি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আমরা জানি, লড়াইটা সহজ হবে না। ভারতের বোলিংয়েও ভারসাম্য রয়েছে। মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, বুমরাহ দলকে জেতাতে পারে। তাই আমার বিশ্বাস ভারত অস্ট্রেলিয়া আসন্ন টেস্ট সিরিজ উপভোগ্য হবে।’
একইসঙ্গে স্টিভ স্মিথ জানিয়েছেন, অ্যাডিলেডে ভারত অস্ট্রেলিয়া গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্ট ম্যাচে তাঁদের পাল্লাই ভারি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘ভারতের তুলনায় আমরা বেশিএই ধরনের ম্যাচ খেলেছি। তাই অ্যাডিলেডে আমরা একটু হলেও এগিয়ে শুরু করব। কলকাতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিরা গোলাপি টেস্টে ভালোই খেলেছিল। তবে ওই ম্যাচে তেমন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হয়নি ওদের। দেখতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দিনরাতের টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আমাদের বোলারদের কীভাবে সামলায়।’ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে আইসিসি টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যেতে পারে। ১০ জুন ঠিক হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। তবে স্মিথ ঠিক করে নিয়েছেন, এ বছর বিশ্বকাপ না হলে আইপিএলে খেলবেন।
করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটে বেশ কিছু বদল আসছে। আইসিসি জানিয়েছে, বলের পালিশ তোলার ক্ষেত্রে মুখের লালা কিংবা থুতু ব্যবহার করা যাবে না। তবে ঘাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি। আইসিসির নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে স্টিভ স্মিথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো ফিল্ডিং করার সময় হাতের তালুতে থুতু লাগাই। যাতে বল গ্রিপ করতে সুবিধা হয়। এবার আর সেটা হবে না। অনেক দিনের অভ্যাস ছাড়তে হবে। তবে আমার মনে হয়েছে, ব্যাট-বলের লড়াইয়ে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। বলে পালিশ তোলার ক্ষেত্রে থুতু ব্যবহার করতে না পারলে বোলাররা সমস্যায় পড়বে। তবে এই মুহূর্তে কোনও বিকল্প উপায় নেই।’