কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
সিবিএফের অফিসের পাশেই আছে মিউজিয়াম। এখানেই যত্ন করে রাখা ১৯৭০ সালের জুলে রিমে কাপের রেপ্লিকা। সঙ্গে সেবারের ফুটবল দলের ছবি। চোখে পড়বে ব্রাজিলের পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনের অনবদ্য কোলাজও। রয়েছে বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের সাফল্য নিয়ে ২০ মিনিটের একটি ভিডিও শো দেখার ব্যবস্থা। সেখানে অনেকেই অতীতের স্বাদ নিতে ব্যস্ত। চোখের সামনে ভেসে উঠছে, ১৯৬২’তে গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে পেলে কীভাবে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার দৃশ্য। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গ্যারিঞ্চার সাহায্যে পোডিয়ামে উঠে পেলের ব্যক্তিগত পদক নেওয়ার মুহূর্ত। ভিডিও শো দেখে বেরনোর সময় কানে ভেসে এল, ১৯৫৮ কিংবা ১৯৬২ নয়, ব্রাজিলের সেরা সাফল্য ১৯৭০ সালেই। ছ’বছর আগে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে এই কথা একাধিক ব্রাজিলবাসীকে বিশ্বাস করতেও দেখেছি।
ব্যর্থতার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উদাহরণ সত্তরের বিশ্বকাপ। উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। ২০১৪’র ৮ জুলাই বেলো হরাইজেন্তেতে বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে চূর্ণ করেছিল জার্মানি। সেদিন রাতে ব্রাজিলের অনেক বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। সেলেকাওদের হৃদয় রক্তাক্ত। ও গ্লোবোর প্রতিনিধি হিসেবে মাঠেই ছিলেন বড় রোনাল্ডো। ব্রাজিল চার গোল খাওয়ার পরেই তিনি কমেন্ট্রি বক্সে বসে বলেছিলেন,‘১৯৭০’এর অর্জিত সেই গরিমা চুরমার হয়ে গেল। আর তা হল নিজেদের দেশেই। আমি দিশাহারা।’ ছয়ের দশকে ব্রাজিলের পরিচিত খেলোয়াড় দারিও সিলভা বলেছিলেন,‘একটি ম্যাচ খ্যাতির শীর্ষ থেকে বাস্তবের জমিতে নামিয়ে আনল আমাদের।’ বিভিন্ন সংবাদপত্র এই কলঙ্ককে ব্যাখা করেছিল লজ্জা শিরোনামে। পর্তুগিজ দৈনিক মেট্রো এই শিরোনামের নীচে ছেপেছিল মাইকন-হুলিও সিজারদের ছবি। তার পাশে ছিল ১৯৭০’এর পেলে-টোস্টাওদের সেই ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের ছবি। প্রশ্ন জাগতেই পারে, পুরানো ছবির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। একাধিক সাম্বা অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম, জাতীয় বিপর্যয়ের মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতেই এই ছবির ব্যবহার করা হয়েছিল।