কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পশ্চিম জার্মানি। তাই ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি ছিল জার্মানদের কাছেই। সেবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ট্রফিটি জার্মানি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সুইডেনে। চিত্রসাংবাদিক জো কয়েল ১৯৫৪ ও ১৯৫৮ সালের ট্রফির কিছু ছবি পর্যবেক্ষণের পর দাবি করেন যে, সুইডেনের বর্তমান ট্রফিটি ‘আসল’ জুলে রিমে ট্রফিটির থেকে ৫ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা এবং কাঠামোতেও কিছুটা রদবদল রয়েছে। যদিও তাঁর এই দাবি কখনই যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে অনেকেই মনে করেন যে, সুইডেনে নিয়ে যাওয়া ১৯৫৮ সালের ট্রফিটি আসল ছিল না।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রায় তিন মাস আগে ওয়েস্টমিনস্টার সেন্ট্রাল হলের একটি প্রদর্শনী থেকে চুরি হয়ে যায় এই ট্রফি। ফলে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। জাতীয় সম্মান বাঁচানোর জন্য তারা জুলে রিমে কাপের রেপ্লিকা তৈরি করে। এফএ’র নির্দেশে জর্জ বার্ড হুবহু যে ট্রফিটি বানিয়েছিলেন তা ছিল তামার তৈরি। যদিও চুরির কয়েকদিন পরেই পিকলস নামে একটি কুকুর খুঁজে পায় ট্রফিটি, যা ইংল্যান্ড ও এফএ’র মান বাঁচায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয় করলে দলটির অফিসিয়াল পার্টি ও সাধারণ প্রদর্শনীতে নকল জুলে রিমে ট্রফিটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইংল্যান্ড ট্রফিটি হস্তান্তর করে ফিফার কাছে। গুজব রটে, এই ট্রফিটি আসল নয়। তামার তৈরি নকল। দু’টি ট্রফি হুবহু একইরকম হওয়ায় এরকম ভুল হতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।
১৯৮৩’র ডিসেম্বর। রিও ডি জেনেইরোতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অফিস হুয়া দা আলফানদেগাতে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের গর্বের প্রতীক ও অর্জন জুলে রিমে ট্রফি। ভবনটির তৃতীয় তলায় ছিল ট্রফিটি। ২০ ডিসেম্বর রাতে সেখানে প্রবেশ করে একটি দল। নৈশপ্রহরীকে ধরাশায়ী করতে বেশি সময় লাগেনি দলটির। বুলেটপ্রুফ কাচে ঘেরা কাঠের কাঠামোতে রাখা ট্রফিটি নিয়ে মুহূর্তে রাতের অন্ধকারে মিশে যায় দলটি। চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম মূল্যবান ট্রফি।