দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এই ক্রীড়াসূচী একতরফাভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে। আর তাতে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কোনও পরিকল্পনা নেই টিম ইন্ডিয়ার। তাই এই সিরিজ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হয়, তাহলে ওই সময় ভারতে আইপিএল হবে। এমনও শোনা যাচ্ছে, ত্রয়োদশ আইপিএল হবে দর্শকশূন্য মাঠে। তাও আবার হাতে গোনা তিন-চারটি ভেনুতে সবকটি ম্যাচ করা হবে। বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘গতকাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যে ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করেছে সেটা আগের। করোনা পরবর্তী সময়ে এই সূচি মানা সম্ভব নয়। আমরা চারটি টেস্ট খেলার কথা ওদের জানিয়েছি। তবে কটা মাঠে খেলা হবে, সে বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমাদের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়েও কোনো কথা হয়নি। সময় পেলে একদিনের সিরিজটা হতে পারে।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের ক্ষোভের বিষয়টি জানতে পেরেই ময়দানে নেমে পড়েন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস। তিনি জানিয়েছেন, ‘ক্রীড়াসূচি পরিবর্তন হতেই পারে। সেই পথ খোলা রয়েছে। সেটা নির্ভর করবে তৎকালীন পরিস্থিতির ওপর। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যদি না কমে এবং দেশে লকডাউন বিধি শিথিল না হয়, তাহলে একটা ভেনুতেই চারটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে হতে পারে। তার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকছি।’
এদিকে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে কিনা তা নিয়ে দোলাচল অব্যাহত। তবে বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ ভারতে ফের পুরোদমে কবে ক্রিকেট শুরু করা যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গতকাল আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও চূড়াম্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। ১০ জুন ফের এই বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এই বছর পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ না হলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। কিন্তু অক্টোবর-নভেম্বরে এত বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’