সিডনি, ২৭ মে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যদি পিছিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজন করা যেতেই পারে। এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স। তাঁর মতে, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফেরার জন্য আইপিএলের চেয়ে ভালো আসর হতে পারে না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলার জন্য রীতিমতো উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন অজি ক্রিকেটারটি। রেকর্ড পরিমান সাড়ে ১৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কামিন্সকে দলে নিয়েছে কেকেআর। তাই এবার যদি আইপিএল না হয়, তবে তাঁর কাছে সেটা মস্ত বড় হতাশার কারণ হবে। কামিন্স অবশ্য পূর্ণ আশাবাদী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘শোনা যাচ্ছে, আমাদের দেশে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতে পারে। আর বাস্তবে সেটা যদি হয়, তাহলে অক্টোবর-নভেম্বরে নতুন উইন্ডো পেয়ে যাবে আইপিএল। ক্রিকেট মাঠে ফেরার জন্য এর চেয়ে চমৎকার মঞ্চ আর কিছু হতে পারে না।’ একটু থেমে কামিন্স যোগ করেন, ‘বিশ্বের প্রচুর মানুষ আইপিএল উপভোগ করে থাকেন। এবার তো তা আলাদা মাত্রা পাবে। কারণ করোনার জেরে দীর্ঘদিন ক্রিকেট দেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তাঁরা। খেলোয়াড়রাও ছটফট করছে মাঠে ফিরতে। একাধিক কারণে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছেও এবারের আইপিএল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার জন্য সত্যিই আমি উদগ্রীব হয়ে রয়েছি।’
কেকেআরের হয়ে অতীতেও (২০১৪-১৫) খেলেছেন কামিন্স। এরপর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে আইপিএল মাতান অস্ট্রেলিয়ান পেসারটি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কামিন্স জানিয়েছেন, আইপিএল তাঁকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বোলিং করার ক্ষেত্রে। কামিন্সের কথায়, ‘আইপিএলে শেষের দিকে বল করাটা দারুণ চ্যালেঞ্জিং। হয় জিতবো না হয় হারবো, এরকম পরিস্থিতিতে বল করে অনেক কিছু শিখেছি। বলতে দ্বিধা নেই, ডেথ ওভারে বোলিং আমাকে দ্রুত পরিণত করে তুলেছে। পাশাপাশি আইপিএলে খেলার সুবাদে বেশকিছু মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছি কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। যেমন কেকেআরের হয়ে খেলার সময় জ্যাক ক্যালিসকে পাশে পেয়েছি। সেই সময় আবার নাইটদের বোলিং কোচ ছিলেন ওয়াসিম আক্রাম। পরে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে খেলেছি। এঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি আমি। তাই আমার কাছে আইপিএলের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’