বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হোলিফিল্ডের কাছে বয়স স্রেফ সংখ্যা মাত্র। বক্সিং কেরিয়ারে এর আগে দু’বার ঐতিহাসিক লড়াইয়ে হোলিফিল্ডের কাছে হেরেছেন টাইসন। এবার জয়ের হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া তিনি। টাইসন চিরকালই হারতে ঘৃণা করেন। শেষবারের লড়াইয়ে তিনি হোলিফিল্ডের কান কামড়ে নিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিশ্ব বক্সিং মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছিল। শাস্তিস্বরূপ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল টাইসনের বক্সিং লাইসেন্স। পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা দিয়েছিলেন টাইসন। হোলিফিল্ড বলছেন, 'আমি এমন একজন বক্সারের বিরুদ্ধে লড়তে স্বচ্ছন্দ, যাকে আমি এর আগে দু'বার হারিয়েছি। আশা করি, তৃতীয়বার মাইককে হারাতে পারব। টাইসন আমার খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু রিংয়ে নামলে প্রতিদ্বন্দ্বী। ও হিট করলে আমিও পাল্টা হিট করব। যদিও দু'জনের বয়স বেড়েছে। কিন্তু স্কিলে মরচে ধরেনি।'
টাইসন ও হোলিফিল্ড এই চ্যারিটি ফাইট নিয়ে অনেকদিন আগে থেকেই নিজেদের উদ্দীপ্ত করছেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্র্যাকটিসের ভিডিও বারবার পোস্ট করছেন দু’জনেই। প্রস্তুতিতে উভয়েই খুব সিরিয়স। ওজন কমাতে নিয়মিত স্কিপিং করছেন হোলিফিল্ড। প্র্যাকটিস পার্টনার হিসেবে ডেকে নিয়েছেন ভ্লাদিমির ক্লিৎসকোকে। ইউক্রেনের এই বক্সার ওলিম্পিকসে সোনা জয়ী। অ্যামেচার বক্সিং থেকে পেশাদার বক্সিংয়ে গিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। অ্যান্থটি জোসুয়ার মতো বক্সারকে হারিয়েছেন কেরিয়ারের শেষদিকে। ২০১৭ সালে তিনি পেশাদার বক্সিং থেকে অবসর নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ম্যাকব্রাইডের কাছে হেরে পেশাদার বক্সিং থেকে অবসর নিয়েছিলেন মাইক টাইসন। তার সাত বছর পর বক্সিংকে বিদায় জানান হোলিফিল্ড। আবার দীর্ঘদিন বাদে দুই হেভিওয়েট বক্সারের লড়াইকে ঘিরে উত্তপ্ত বিশ্ব বক্সিং।