গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কপিল দেব, জাভাগাল শ্রীনাথ, জাহির খানের মত পেসাররা দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পেলেও তা ছিল ব্যক্তিগত নৈপুন্য। সংগঠিত পেস আক্রমণ সেভাবে তৈরি হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় দলে সেই ধারণাটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব এবং যশপ্রীত বুমরাহ ধারাবাহিকভাবে ভারতীয় দলকে টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য এনে দিচ্ছেন ঘরে-বাইরে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতোই প্রচারের আলো শুষে নিচ্ছেন তাঁরাও। গত মরশুমে টেস্টে ভারতের পেস ব্যাটারির পারফরম্যান্স সাড়া ফেলে দিয়েছিলো ক্রিকেট বিশ্বে। ৮ টেস্টে মোট ৯৫টি উইকেট নেন ইশান্ত, বুমরাহ, সামি, উমেশ মিলে। অনেকে এই চার মূর্তির সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি অধ্যায়ের পেস আক্রমণের তুলনাও টেনেছেন। ২০১৯ যথার্থ অর্থেই ছিল ভারতীয় পেস বোলিংয়ের মোড় ঘোরানো বছর। এক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্বেই নতুন মাত্রা পায় দলের পেস আক্রমণ। পেসারদের কাঁধে চড়ে কোহলি এখন বিদেশেও টেস্ট সিরিজ জেতার পরিকল্পনা করেন। চোটের কারণে ভুবনেশ্বর কুমার পুরো সার্ভিস দিতে না পারলেও বাকিরা ভারতের পতাকা বয়ে নিয়ে যান সাফল্যের সঙ্গে। এই মহূর্তে ভারতীয় পেস ব্যাটারির স্ট্রাইক রেট ৫০-এর উপর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টস এবং ম্যালকম মার্শালদের সম্মিলিত স্ট্রাইক রেট ছিল ৫১.০৭। যা দেখে টিম ইন্ডিয়ার কোচ রবি শাস্ত্রী জোর গলায় বলতে পেরেছেন, ‘এটাই ভারতের সর্বকালের সেরা পেস আক্রমণ।’ ভারতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ জানিয়েছেন, এই চার পেসার আরও অন্তত বছর দুয়েক এই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। তবে করোনার জেরে দীর্ঘদিন ক্রিকেট বন্ধ থাকায় পেসাররা সমস্যায় পড়তে পারেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ভারতীয় বোলিং কোচের বক্তব্য, ‘একটা গাড়ি দীর্ঘদিন পার্কিংয়ে পড়ে থাকলে যেমন হয়, জোরে বোলারদের অবস্থা এখন খানিকটা সে রকমই। করোনা পরবর্তী সময়ে খেলতে নামার আগে পর্যাপ্ত অনুশীলনের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে আলাদা শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। বিসিসিআইয়ের সবুজ সংকেত পেলে দ্রুত সেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। তবে ভারতের এই চার পেসার (ইশান্ত, সামি, উমেশ, বুমরাহ) দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। ওরা জানে এই সময়টা কিভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্র্যাকটিসের মধ্যে দিয়ে ওরা খুব তাড়াতাড়ি পুরানো ফর্ম ফিরে পাবে। টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যকে বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।’ একই সঙ্গে ভবিষ্যতের কথা ভেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মজবুত করার কথাও বলছেন ভরত অরুণ। তাঁর কথায়, ‘চোট প্রবণতার কারণে জোরে বোলারদের কেরিয়ার খুব বেশি লম্বা হয় না। তাই বেঞ্চে বেশি বোলার থাকলে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পেসাররা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে এবং ফিট হয়ে সেরাটা মেলে ধরতে পারবে।’
এদিকে, আইসিসি’র ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ বলবৎ হলে নিষিদ্ধ হবে বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহার। এ ব্যাপারে ভরত অরুণ বলেন, ‘বল তৈরির ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহার অনেক দিন ধরে চলে আসছে। রাতারাতি এটা শুধরে নেওয়া কঠিন। তবে আমরা যখন ক্যাম্প চালু করব, তখন বোলারদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেব।’