রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে চার ম্যাচের সিরিজে একটি দিন-রাতের টেস্টও খেলবেন বিরাট কোহলিরা। টিম ইন্ডিয়ার কাছে যা নিঃসন্দেহে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ এখনও পর্যন্ত দিন-রাতের সবক’টি টেস্ট ম্যাচই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এই ধরনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় গতবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে চায়নি ভারতীয় দল। তবে গত নভেম্বরে ইডেনে বাংলাদেশর বিরুদ্ধে একটি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে ভারত। জয়ও পেয়েছে দাপটে। তাই এবার কোহলিদের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে লড়াই দারুণ জমবে বলে মনে করছেন মিচেল স্টার্ক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, ‘এই সিরিজে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ হলে তা দারুণ হবে। ক্রিকেট অনুরাগীরা বেশ উপভোগ করবেন এই ম্যাচ। দুই দলের মধ্যে ব্যাট-বলের লড়াইটা ভালোই জমবে বলে মনে হচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যে ওদের ঘরের মাঠে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এই ধরনের ক্রিকেটের সঙ্গে ওরা এখন আর অপরিচিত নয়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বোলিং করার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।’ দিন-রাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড দারুণ উজ্জ্বল। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্টার্ক বলেন, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মানে জমজমাট লড়াই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। তবে নির্দিষ্ট করে দিন-রাতের টেস্টের কথা আসলে তখন আমি নিজেদেরই এগিয়ে রাখব। কারণ গোলাপি বলের ক্রিকেটে আমাদের একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড রয়েছে।’
করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। শেষ পর্যন্ত তা কার্যকরী হলে ক্রিকেট তার জৌলুস হারাবে বলে মনে করেন মিচেল স্টার্ক। খেলাটা ‘বিরক্তিকর’ হয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন অভিজ্ঞ অজি তারকাটি। স্টার্কের কথায়, ‘পরিস্থিতি যখন এমনটাই দাবি করছে তখন তা মেনে নিতেই হবে। কিন্তু তার থুতুর পরিবর্তে পরিপূরক কোনও ব্যবস্থা করাটাও জরুরি। তা নাহলে বোলাররা মুশকিলে পড়বে। তার ফলে ক্রিকেট তার পরিচিত জৌলুস হারাবে। বিরক্তিকর হয়ে উঠবে ম্যাচ। তরুণ প্রজন্ম বোলার হওয়ার প্রতি আগ্রহ হারাবে।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি, অস্ট্রেলিয়ার অনেক মাঠে একেবারে পাটা উইকেট বানানো হচ্ছে। এখন যদি বলও সেখানে সোজা যায় তাহলে তো খেলাটাই বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। তাই থুতুর বিকল্প হিসেবে মোমের প্রলেপের কথা ভাবা যেতে পারে। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে নিয়ম করতে হবে যে, কোথাও পাটা উইকেট বানানো যাবে না’।