গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বলবীর সিংকে ‘বলবীর পাজি’ বলেই সম্বোধন করতেন বলরাম। তাঁর কথায়, ‘১৯৫৬ মেলবোর্ন ওলিম্পিকসে আমরা একই ভিলেজে থাকতাম। ছিলাম একটা পরিবারের মতো। কত স্মৃতি মনে পড়ছে। আমার জীবনে বলবীর পাজির মতো সৎ, নিষ্ঠাবান ও শৃঙ্খলাপরায়ণ মানুষ খুব কম দেখেছি। আর হকি প্লেয়ার হিসেবে ওঁর স্কিল, অনুমানক্ষমতার কোনও তুলনাই হয় না। আমার মতে, বলবীর পাজিই সর্বোত্তম।’
ছোটবেলা থেকেই হকির ভক্ত ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘ওলিম্পিক ভিলেজে বলবীর সিং, লেসলি ক্লডিয়াস, শঙ্কর লক্ষ্মণন, রঙ্গনাথন ফ্রান্সিস, আমির কুমারদের প্র্যাকটিস মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। এঁরা ছিলেন শিল্পী খেলোয়াড়। হকি স্টিক দিয়ে মাঠে ছবি আঁকতেন। উধম সিং ও বলবীর পাজির অনবদ্য বোঝাপড়া ছিল। ১৯৫২ ওলিম্পিকস ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বলবীর পাজির পাঁচ গোল জীবনে ভুলব না। সত্যি কথা বলতে কী, সেই সময় ভারতীয় হকি দলের পারফরম্যান্স উদ্বুদ্ধ করত আমাদের। ওলিম্পিকসে ভারতীয় ফুটবল দলকে দারুণভাবে উৎসাহিত করতেন হকি প্লেয়াররা। ঠিক সেভাবেই হকি দলের সাফল্য কামনা করতাম আমরাও। ১৯৫৬ মেলবোর্ন ওলিম্পিকসে অস্ট্রেলিয়ারর বিরুদ্ধে নেভিল ডিসুজার দুরন্ত হ্যাটট্রিকের পর ভারতীয় হকি দলের অভিবাদন এখনও আমার চোখের সামনে ভাসছে। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাই আমাদের সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করেছিল।’