প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এই নতন সূচি দেখে ওলিম্পিকসে পদকজয়ী ভারতীয় শাটলার সাইনা নেহওয়াল রীতিমতো বিস্মিত। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সভাপতি নিজে একজন প্রাক্তন ওলিম্পিয়ান। তিনি কীভাবে এই রকম একটা সূচি তৈরি করলেন তা বুঝতে পারছি না! এখন থেকে যেকোনও দেশে গেলেই ১৫ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই বিধি জানার পরেও বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা কীভাবে এই ধরণের সূচি তৈরি করল? এখানে একটি টুর্নামেন্টের সঙ্গে আর একটির ব্যবধান এক সপ্তাহও নয়। কখনও তিনদিনের। কখনও চারদিনের। আর পাঁচ মাসে ২২টি টুর্নামেন্ট খেলাও খেলোয়াড়দের পক্ষে ভয়ানক ধকলের বিষয়। এতে চোট পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে। সাধারণত সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা অংশ নেয় না। তারা মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেয়। কিন্তু ২০২১ সালে ওলিম্পিকস। তার আগে র্যাঙ্কিং ঠিক রাখতে প্রতিটি প্রতিযোগিতাই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাঁচ মাসে ২২টি টুর্নামেন্ট খেলা রীতিমতো চাপের। এই সূচি অমানবিক। ওলিম্পিকসের বাছাই পর্বের উপর পৃথক ভাবে জোর দেওয়া উচিত ছিল। সেই প্রতিযোগিতাটি কবে হবে তা বলা হয়নি। সূচি দেখে আমি হতবাক।’ সাইনাকে সমর্থন করেছেন দেশের আর তারকা শাটলার পারুপল্লী কাশ্যপ।
দেশের সেরা ডাবলস জুটি চিরাগ শেঠি ও সাইরাজ রেড্ডি বলেছেন, ‘বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সূচি দেখে আমরা তো বিভ্রান্ত। খেলোয়াড়দের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাবে।’ এই মুহূর্তে ভারতের সেরা মহিলা শাটলার পিভি সিন্ধু অবশ্য এ ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছেন, ‘আমি আপাতত তাকিয়ে আছি ৩১ মে’র দিকে। ওই দিন সরকার ঘোষণা করবে লকডাউন আরও বাড়বে কিনা। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সূচি খেলোয়াড়দের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের। তাই দ্রুত কোর্টে ফিরতে চাইছে শাটলাররা।’ উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সূচি অনুসারে ইন্ডিয়ান ওপেন হবে ৮-১৩ ডিসেম্বর। বছরের শেষ দুই সপ্তাহে হবে সুপার সিরিজ।