কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ভারতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারদের থেকে রোহিত শর্মার প্রতীক্ষাটা একটু বেশিই। কারণ চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সফরের মাঝপথেই তাঁকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল। ফিট হয়ে দলে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে করোনা। জাতীয় দলে কামব্যাকের পাশাপাশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ত্রয়োদশ আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরার পরিকল্পনাও ছিল হিটম্যানের। কিন্তু মহামারীর দাপটে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রিকেট ফের কবে শুরু হবে কেউ জানে না। তবে সম্প্রতি খানিকটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। প্র্যাকটিস শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ভারতে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই টিম ইন্ডিয়ার আবাসিক শিবির হবে বেঙ্গালুরুতে। তবে যতক্ষণ না যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হচ্ছে, ততক্ষণ ভারতীয় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে স্থানীয় পর্যায়ে অনুশীলনের পরামর্শ দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু সেই সুযোগ নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির কাছে। কারণ ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা প্রবণ রাজ্য মহারাষ্ট্র। এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, ‘আমি যে জায়গায় থাকি, সেই মুম্বইয়ের অবস্থা ভালো নয়। এখানে করোনা মহামারী প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে গিয়ে অনুশীলন করা কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ।’
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটে বেশকিছু নতুনত্ব চোখে পড়বে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমদিকে দর্শকশূন্য মাঠে খেলা করার পক্ষপাতি আইসিসি। এছাড়া, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে। এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, ‘খেলাধুলায় দর্শকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরাই প্রতিটি মুহূর্তকে আকর্ষণীয় করে তোলেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে মানুষের সুরক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মনে হয়, যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বনের পর খেলার মাঠে দর্শকদের প্রবেশের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও ধীরে ধীরে শিথিল হবে। আপাতত আমাদের লড়াই করোনার বিরুদ্ধে। সবাইকে এখন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সাবধানতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে
সামনের দিকে।’