প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা, অজিঙ্কা রাহানেরা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার বাড়িতে ফিটনেস ট্রেনিং করছেন। কিন্তু ম্যাচ খেলার মত অবস্থায় পৌঁছাতে হলে আউটডোরে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ট্রেনিং করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চতুর্থ পর্বের লকডাউন শেষ হলে কেন্দ্রীয় সরকার ফের কী সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে জুন মাস থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে একটি জাতীয় শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে কোচ রবি শাস্ত্রী নিজে বোর্ডের কাছে দরবার করেছেন। সেই মতো আন্তর্জাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ দিতে চায় বিসিসিআই। কিন্তু সমস্যা হল, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বর্ষা শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কোহলিরা ম্যাচ প্র্যাকটিসের খুব বেশি সুযোগ পাবেন না। তাই সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষার শেষে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শুরু করে দিতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর সেই টুর্নামেন্টে খেলতে দেখা যেতে পারে কোহলি, রোহিতদের।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপাতত মূল লক্ষ্য হলো এ বছরই ত্রয়োদশ আইপিএল আয়োজন করা। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। যদিও সেটি স্থগিত হতে পারে বলে জোর খবর। ২৮ মে আইসিসি’র বোর্ড মিটিংয়ে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বিসিসিআই কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, আইপিএলের জন্য তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবেন না। কারণ সেটা হলে জোর বিতর্ক তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডার বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাই সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ধীরে পা ফেলতে চাইছে। একই সঙ্গে প্ল্যান ‘বি’ তৈরি রেখেছে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে গেলে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ নভেম্বরের মধ্যে আইপিএল আয়োজন করতে চায় ভারতীয় বোর্ড। এমনকি, দর্শকশূন্য গ্যালারিতেও এবারের আইপিএল হতে পারে। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘টিকিট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। দর্শকদের সুরক্ষা তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট যদি চালু হয় তাহলে টিভি স্বত্ব থেকেই পর্যাপ্ত অর্থ আসবে। যা ভারতীয় ক্রিকেটকে আর্থিক সংকটের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে।’