বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সঞ্জয় আরও বলেছেন, ‘ক্রিকেট কোচিংয়ে কেরিয়ারের অভিজ্ঞতা বড় মূলধন। জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে সামনে এনে অনেক ক্রিকেটারের সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে শুধুরে দেওয়া যায়। কিন্তু জুনিয়র ছেলেদের শুধুই নিজের ক্রিকেট জীবনের গল্প বলে বড় কোচ হওয়া সম্ভব নয়। একটি ক্রিকেট দলে ‘রত্ন’ থাকেন একজন বা দুই জন। অধিকাংশই মধ্যমমানের খেলোয়াড়। তাঁদের সমস্যা অনেক সময়ে মহাতারকাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না। এই জন্যই দেখা যায়, বেশ কিছু মধ্যমমানের ক্রিকেটার কোচ হিসেবে সফল। কারণ তাঁরা ‘অ্যভারেজ’ ক্রিকেটারদের সমস্যা অনেক তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন।’
এই চ্যাট শো’তে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আরেক পরিচিত কোচ মাইক হেসেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনও দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জীবনের গল্প ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া উচিত। তারপর জীবনের সোনালি অতীতকে আর খেলোয়াড়দের সামনে নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। বরং তাঁদের টেকনিক শুধরে দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে বোঝানো উচিত বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া খেলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফারাক কতটা? আন্তর্জাতিক স্তরে সফল হওয়ার জন্য মানসিক কাঠিন্য
খুবই প্রয়োজন। তাই ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢতা বাড়ানো একজন মনোবিদের মতোই একজন
কোচেরও কাজ। কারণ আধুনিক ক্রিকেটে কোচিংয়ের পদ্ধতিটা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। এখন দলে ম্যান ম্যানেজমেন্টটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’